রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ!
লড়াই করে হারল খুলনা

লড়াই করে হারল খুলনা

ক্রীড়া ডেস্কঃ ষষ্ঠ আসরের ২২তম ম্যাচে এসে ২০০ রান দেখল বিপিএল। শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে এসে দুশ রান টপকে ২১৪ রান করেছে চিটাগং ভাইকিংস। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুলনা টাইটানস হারল ২৬ রানে। এ নিয়ে ৭ ম্যাচের ৬টিতেই হার দেখল মাহেলা জয়াবর্ধনের শিষ্যরা। ফলে বিপিএলে প্লে-অফ খেলার স্বপ্নও বলতে গেলে ধূসর হয়ে গেল দলটির।২১৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বড় বিপদে পড়ে খুলনা টাইটান্স। দলের খাতায় ১৮ রান উঠতেই সাজঘরের পথ ধরেন ৩ ব্যাটসম্যান-পল স্টারলিং (০), আল আমিন (৫) আর জুনায়েদ সিদ্দিকী (১২)। শুরুর সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি খুলনা।

১৬ বলে ২৮ রান করে ফিরেন ব্রেন্ডন টেলর। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু ২৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় তার ৫০ রানের ইনিংসটি বড় লক্ষ্য তাড়া করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। অধিনায়ক আউট হওয়ার পরই আসলে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে পড়ে খুলনা।পরের দিকে ডেডিভ ওয়াইজের ২০ বলে ৪০ (২ চার, ৪ ছক্কায়) আর তাইজুল ইসলামের ২১ বলে ২২ রান পরাজয়ের ব্যবধানটাই যা একটু কমিয়েছে। খুলনা যেতে পেরেছে ৮ উইকেটে ১৮৮ পর্যন্ত।চিটাগং ভাইকিংসের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। ২টি উইকেট শিকার খালিদ আহমেদের।এর আগে, বিপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৪ রানের পুঁজি গড়ে মুশফিকুর রহিমের চিটাগং। মাত্র ৪ রানের জন্য ২০১৩ সালে ঢাকার করা ২১৭ রানকে টপকে যেতে পারেনি তারা।

খুলনা টাইটান্স অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আমন্ত্রণে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে চিটাগং। শুরু থেকেই খুলনার বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় চালাতে থাকেন চিটাগংয়ের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ। ৩টি করে চার-ছক্কার মারে ১৭ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। অপর ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্টের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।প্রথম পাওয়ার প্লে’তে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান করে চিটাগং। সপ্তম ওভারের প্রথম বল থেকে জুটি বাঁধেন চিটাগংয়ের ঘরের ছেলে ইয়াসির আলি রাব্বি এবং অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। দুইজনের জুটিতে মাত্র ৫০ বলে ৮৩ রান পায় চিটাগং। আসরে নিজের প্রথম ফিফটিতে ৫ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৩৬ বলে ৫৪ রান করেন ইয়াসির।ফিফটি তুলে নেন অধিনায়ক মুশফিকও। আগের ম্যাচেই ৪১ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে জেতানো মুশফিক এ ম্যাচে খেলেছেন ৫২ রানের ইনিংস। ৮ চার ও ১টি ছক্কার মারে ৩৩ বলে এ রান করেছেন তিনি। ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে মুশফিক সাজঘরে ফিরে যাওয়ার সময় চিটাগংয়ের দলীয় সংগ্রহ ছিলো ৪ উইকেটে ১৭০ রান।আসরে প্রথমবারের মতো দুইশ পেরুতে হলেও শেষের ১৪ বলে করতে হতো ৩০ রান। কিন্তু দুই বিদেশি দাশুন শানাকা এবং নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ১৪ বলে ৪৪ রান পায় চিটাগং। এই ১৪ বলে ৪টি করে চার-ছক্কা মারেন শানাকা ও নাজিবুল্লাহ।শেষপর্যন্ত ৩ চার ও ৪ ছক্কার মারে মাত্র ১৭ বল থেকে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন শানাকা। ২ চার ও ১ ছক্কার মারে ৫ বলে ১৬ রান করেন নাজিবুল্লাহ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চিটাগংয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২১৪ রান।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com