শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
শুধু পিঠ, বাহুতেই নয়, ঘাড়সহ সারা শরীরেই ছোট-বড় টিউমার বয়ে বেড়াচ্ছেন দেলোয়ার হোসেন। দুর্বিষহ এই জীবন থেকে মুক্তি পেতে চান আঠাশ বছরের এই তরুণ। ফিরতে চান আর দশটা মানুষের মতো স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু দেলোয়ারের সেই স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা। অর্থাভাবে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না।
দেলোয়ার হোসেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ছোটশৌলা গ্রামের দরিদ্র কৃষক মালেক মল্লিকের ছেলে। সাত বছর বয়সে দেলোয়ার হোসেনের মাথার পেছনে প্রথম টিউমার ধরা পড়ে। এ সময় বরিশাল মেডিকেলে প্রথম অপারেশন করে টিউমার অপসারণ করা হয়।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে টিউমার। ক্রমেই এসব টিউমার বড় আকার ধারণ করতে থাকে। ঘাড় থেকে পিঠ হয়ে কোমরের নিচ পর্যন্ত ঝুলে পড়েছে টিউমার।
ছেলের চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন দরিদ্র বাবা মালেক মল্লিক। তিনি বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় দেলোয়ারের মাথার পেছনে টিউমার ধরা পরলে মানুষের কাছে হাত পেতে বরিশালে অপরেশন করানো হয়। ওই সময়েই শিশু দেলোয়ারের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়।
মালেক মল্লিক জানান, অপারেশনের ক্ষত না শুকাতেই সারা শরীর জুড়ে নতুন করে টিউমার ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ ১৮ বছরে ওই টিউমার ভয়াবহ আকার ধারণ করে মাথার পিছন হতে হাঁটু পর্যন্ত ঝুলে পড়েছে। শরীরে এমন টিউমার নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেলোয়ার। অর্থ কষ্টে দেলোয়ারের চিকিৎসা করাতে পারছেন তিনি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিউমার বিশেষজ্ঞ মঞ্জুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দেলোয়ারকে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে অপারেশনের মাধ্যমে দেলোয়ারের চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে অনেক অর্থের প্রয়োজন। তার মতো দরিদ্র ব্যক্তির পক্ষে ছেলের চিকিৎসার সেই ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয় বলে জানান মালেক মল্লিক।
ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবান মানুষের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়েছেন এই বাবা। দেলোয়ারকে এ মাসের ৩০ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।