শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর বিশ্ব মিডিয়ায় উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সিরাজগঞ্জ আগমন উপলক্ষে বিশাল জনসভা লাল্টু বাহিনীর কাছে জিম্মি এলাকাবাসী,আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হানাহানিতে ধ্বংসের কিনারে কুমারখালির পাহাড়পুর জয়পুরহাটের পুনটে ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে যুবদলের ৪৬,তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি ও আলোচনা সভা তাড়াশে স্বামীর ওপর অভিমান করে গলায় ওরনা পেঁচিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ২০ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিতে আইনি নোটিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল ক্যালিগ্রাফি ‘তুফান’
মিয়ানমারের প্রস্তাবকে কৌশল মনে করছে বাংলাদেশ

মিয়ানমারের প্রস্তাবকে কৌশল মনে করছে বাংলাদেশ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী

মিয়ানমার সরকার প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা তাদের (মিয়ানমারের) ওপর আন্তর্জাতিক চাপ কমানোর একটি কৌশল বলে মনে করছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ কথা বলেন।

‘রোহিঙ্গা সংকট, বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ ও পর্যালোচনা’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, মিয়ানমার নিজেরা যাচাই–বাছাই করে প্রত্যাবাসনের কথা বলছে। এবং এ ক্ষেত্রে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসনের যে নীতি নেওয়া হয়েছিল, সেটাকে অনুসরণ করতে চাইছে। বাংলাদেশ সরকার এবারের পরিস্থিতির মাত্রা ও ভিন্নতার বিষয়ে মিয়ানমারকে জানিয়েছে এবং প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে একটা খসড়া প্রস্তাব হস্তান্তর করেছে।

বাংলাদেশ চায়, এই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) যুক্ত থাকুক—এমনটা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চায়, আন্তর্জাতিক চাপটা অব্যাহত থাকুক। ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের নিস্পৃহ মনে হয়েছে। তারা বাংলাদেশ সফর করেছে তবে কখনোই আলোচনা এগোয়নি। এমনকি আজকেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, সেখানকার গণমাধ্যমে এখনো রোহিঙ্গাদের ‘বেঙ্গল টেররিস্ট’ বলা হচ্ছে।

১৬ তারিখে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে—এমনটা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে মিয়ানমার কী করছে, সেটা দেখেই বোঝা যাবে মিয়ানমার সত্যিই প্রত্যাবাসনে আগ্রহী কি না। বাংলাদেশ কী করেনি? বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় আলোচনাও করেছে, একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছে। এর আগে একবারই জাতিসংঘের মহাসচিব লেবাননের সমস্যা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি দিয়েছিল। আর এবার রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে চিঠি দিল। এই নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে মোট চারটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হলো।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যে সমস্যা, সেই সমস্যার দুটি দিক। একটি হলো তাদের জাতীয়তা, আরেকটি হলো প্রত্যাবাসন। দুটি সমস্যার সমাধানই মিয়ানমারের হাতে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com