শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ অপরাহ্ন
ভোলা: জেলায় চলতি শীত মৌসুমের সবজি’র বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত জমিতে আবাদ হওয়ায় কৃষকদের মুখেও হাসি ফুটেছে। এবছর সবজির দাম ভালো থাকায় কৃষকদের আগ্রহও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় ৬ হাজার ৬২৯ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গতকাল পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৬ হেক্টর জমি বেশি। আগামী মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত আবাদ চলবে। তাই সামনের দিকে আবাদ আরো বাড়বে বলে কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়।
সূত্র আরো জানায়, খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ এ জেলায় প্রতিবছরই সবজির বাম্পার ফলনে টার্গেট অতিক্রম করে। বিগত বছরে জেলার ৭ উপজেলায় শীতকালিন সবজি উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৩ মে:টন। এবছর ১ লাখ ৬ হাজার ৬৪ মে:টন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় তালুকদার জানান, জেলায় মোট সবজি আবাদের মধ্যে সদর উপজেলায় হয়েছে ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে, দৌলতখানে ৪২৫ হেক্টর, বোরহানউদ্দিনে ১২০০ হেক্টর, তজুমুদ্দিনে ৪৫০ হেক্টর, লালমোহনে ৯৫০ হেক্টর,চরফ্যাসনে ২ হাজার ২৬০ হেক্টর ও মনপুরায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে গতকাল পর্যন্ত আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, এবছর সবজির পার হেক্টর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ মে:টন করে। সামনের দিনগুলোতে আরো আবাদের মাধ্যমে এবছর রেকর্ড পরিমান সবজি উৎপাদন হবে বলে তারা আশা করছেন।
সদর উপজেলার ধনীয়া ইউনিয়নের সবজি চাষি মোশারেফ হোসেন, আলী আহমেদ ও রহমান গাজী বলেন, তারা প্রত্যেকে এবছর প্রায় ১ একর জমিতে ফুল কপি, পালং শাক, লাল শাক ও বটবটির চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ৪বার সবজি বিক্রি করেছেন। এখন পর্যন্ত সবজির বাজার দর ভালো থাকায় তাদের লাভ ভালো হচ্ছে। আরো ২ থেকে ৩ বার এখান থেকে সবজি বিক্রি করতে পারবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বটতলা এলাকার চাষি আজাহার হাওলাদার বলেন, তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে সবজির চাষ করছেন। এবছর দেড় একর জমিতে লাউ, শিম, ফুলকপি’র চাষ করেছেন। এবারের মত ভালো দাম কোন বছর পাননি। এখন পর্যন্ত তার এক লাখ টাকার বেশি লাভ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, শীতকালিন সবজির বর্তমান মাঠের অবস্থা ভালো রয়েছে। বিশেষ করে শিমের ফলন এবছর ব্যাপক হচ্ছে। বাজার দামও ভালো রয়েছে। এছাড়া কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সকল সবজির রোগ-বালাই দমনে মাঠ পর্যবেক্ষণসহ সব ধরনের পরামর্শ সেবা দিয়ে আসছে।