শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএস) ঋণখেলাপি হওয়ায় ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পদ ছাড়তে বাধ্য হলেন মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি নিরীক্ষকদের সংগঠন দ্য ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাবেক সভাপতি। ব্ল– ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পক্ষে ব্যাংকটির মনোনীত পরিচালক ছিলেন সাইফুল ইসলাম।
এদিকে ইসলামী ব্যাংকে থাকা শেয়ারের বিপরীতে ব্ল–-ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে নতুন পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে। তিনিও পেশায় একজন নিরীক্ষক। গত ২৭ জুন ব্যাংকটির ২৭৯তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় নাসির উদ্দিনকে নতুন পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে অবসায়নের উদ্যোগ নেয়া পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে সাইফুল ইসলামের নামে ৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে। এর পুরোটাই তার ব্যক্তিগত ঋণ। পুরোটাই এখন খেলাপি হয়ে আছে।
দফায় দফায় পিপলস লিজিং তাকে ঋণ নিয়মিত করার তাগাদা দিলেও তিনি তা করেননি। ফলে পিপলস লিজিং বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আনে। এটি জানতে পেরে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।
ইসলামী ব্যাংকের একাধিক সূত্র তার পরিচালক পদে না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ঋণখেলাপি কেউ ব্যাংকের পরিচালক পদে থাকতে পারেন না। এ কারণে তাকে পরিচালক পদ ছাড়তে হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের রদবদল ঘটে। তখন এর পরিচালকদের মধ্যে বড় একটি অংশ পদত্যাগে বাধ্য হন। ব্যাংকটির মালিকানায় যুক্ত হয় চট্টগ্রামভিত্তিক একটি বড় শিল্প গ্রুপ। তখনই নতুন মালিকানায় যুক্ত হয় ব্ল–- ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান সাইফুল ইসলাম।