রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: ১৯৯২ সালের পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে ইংলিশরা। ঠিক ২৭ বছর পর। অন্যদিকে নিরপেক্ষ দর্শকদের কাছে অপেক্ষাটা ২৩ বছরের। কারণ, ১৯৯৬ বিশ্বকাপেই সর্বশেষ নতুন কোনো চ্যাম্পিয়ন পেয়েছিল ক্রিকেট। সেবার সবাইকে চমকে শিরোপা জিতে শ্রীলঙ্কা। তবে এবার সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়। ২৩ বছর পর বিশ্ব পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
এবারের বিশ্বকাপের পথচলা দেড় মাসের। ৪৭ ম্যাচের দীর্ঘ টুর্নামেন্টে অনেক উত্থান-পতন ও নাটকীয়তা, সাফল্য-ব্যর্থতার অনেক গল্প শেষে বিশ্বকাপ এখন অপেক্ষায় শেষ রোমাঞ্চের। নতুন চ্যাম্পিয়নকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ছিল ক্রিকেটের তীর্থস্থান লর্ডস। অপেক্ষায় ছিল পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।
আর সে লক্ষ্যে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। উড-আর্চার-ওকসসের চাপের মুখে বড়সড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয় নিউজিল্যান্ড। তবে এই রানের লক্ষ্যে নেমেও চাপকে জয় করতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিক টিম। নির্ধারিত ওভারে তারাও আটকে যায় ২৪১ রানে। যে কারণ ম্যাচটি টাই হয়ে যায়। সুপার ওভারের সাহায্য নিতে হয় আম্পায়ারকে।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রান করে ইংল্যান্ড। ১৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামেন জিমি নিশাম ও মার্টিন গাপটিল। অন্যদিকে বোলিংয়ে জোফরা আর্চার। প্রথম বল ওয়াইড দিয়ে অতিরিক্ত ১ রান দেন আর্চার। এরপর প্রথম বলে ২ রান দেন নিশাম। দ্বিতীয় বলে ৬ হাঁকান নিশাম। তৃতীয় বলে ২ রান করেন নিশাম। চতুর্থ বলেও ২ নেন নিশাম।
পঞ্চম বলে ১ রান নেন নিশাম। যার ফলে শেষ বলে দরকার ছিল ২ রানের। স্ট্রাইকে ছিলেন গাপটিল। শেষ বলে ১ রান নেন এবং দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন গাপটিল। সুপার ওভারেও ড্র হয় ম্যাচ এবং জিতে যায় ইংল্যান্ড। সুপার ওভারে ড্র হলেও বাউন্ডারি সংখ্যায় এগিয়ে থাকায় বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ইংল্যান্ড।