শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ অপরাহ্ন
২০০৮ ও ২০১২ সালের কথা—ধোনি তখন ভারতের অধিনায়ক। তরুণদের জায়গা করে দিতে এ দুটি সময়ের মধ্যে ধোনি ওয়ানডে থেকে ছেঁটে ফেলেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড়, বীরেন্দর শেবাগ ও গৌতম গম্ভীরের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের। সময়ের পালাবদলে ধোনি এখন এসব সাবেকদের সে অবস্থানেই দাঁড়িয়ে। খোদ ভারতের সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরই বললেন এমন কথা।
গম্ভীর এও বলেছেন, ধোনির ব্যাপারে আবেগ নয় তার দেখানো পথেই হাঁটা উচিত। অর্থাৎ অধিনায়ক থাকতে ধোনি তরুণদের দলে জায়গা করে দিতে যেভাবে সিনিয়রদের ছেঁটে ফেলেছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেটেরও এখন তাই করা উচিৎ।
২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক ধোনি। নির্বাচকদের বলেছিলেন, সৌরভ গাঙ্গুলি ও রাহুল দ্রাবিড়কে ওয়ানডে সেট-আপ থেকে সরানো হোক।
চার বছর পর আবারও সেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই আরেকটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনি। ২০১২ সিবি সিরিজে শচীন টেন্ডুলকার, শেবাগ ও গম্ভীরের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের ‘রোটেশন পলিসি’র মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন তৎকালীন ভারতের এ অধিনায়ক।
গম্ভীর তখন চুপ থাকলেও এখন আর মুখ বন্ধ রাখেন নি। সময় সুযোগ বুঝেই ঝাড়লেন ক্ষোভ। সাবেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ায় ২০১২ ত্রিদেশীয় সিরিজে ধোনি ঘোষণা করেছিল সে আমাদের তিনজনকে (শেবাগ, গম্ভীর ও টেন্ডুলকার) একসঙ্গে খেলাতে পারবে না। কারণ তার লক্ষ্য ২০১৫ বিশ্বকাপ। সেটা ছিল অনেক বড় আঘাত। আমি শুনি নাই ২০১২ সালেই আর কাউকে বলা হয়েছে যে ২০১৫ বিশ্বকাপের অংশ হতে পারবে না।’
এসময় মহেন্দ্র সিং ধোনির বিকল্প খুঁজতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে পরামর্শ দেন গম্ভীর। তার অভিমত, আগামী বিশ্বকাপের জন্য নতুন উইকেটকিপার দরকার। সে কারণে তরুণদের এখন থেকে তৈরি করতে হবে।
বিশ্বকাপে ধোনির মন্থর ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা করেছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। ভারতীয় ইতিহাসের সেরা এই ব্যাটসম্যান মন্থর ব্যাটিং করেছেন বলে মত দিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকারও। বিশ্বকাপের পরই ধোনির অবসর নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। কিন্তু এখনও সেই ঘোষণা করেননি ধোনি।