শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ অপরাহ্ন
সফরকারীরা স্বাগতিক দলকে ৮ উইকেটে ২৮২ রানের বিশাল সংগ্রহই গড়তে দেয়। যে রান তাড়ায় ১১ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় মিঠুনের ১০০ বলের ইনিংসটি শেষ হওয়ার সময় বাংলাদেশ করে ফেলেছে ২৬২ রান। এর আগে তৃতীয় উইকেটে তাঁর সঙ্গে ৭৩ রানের দারুণ পার্টনারশিপ গড়া মুশফিকুর রহিম (৪৬ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৫০) করেছেন ফিফটি। তা না করলেও ৩৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে মাহমুদ উল্লাহর ৩৩ রানের ইনিংসটিও চতুর্থ উইকেটে মিঠুনের সঙ্গে গড়ে দিয়েছে ৯৬ রানের ম্যাচ জেতানো পার্টনারশিপ। দুই পার্টনারশিপে জয়ের ভিত পাওয়া বাংলাদেশকে তীরে পৌঁছে দিয়েছে সাব্বির রহমান (২৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩১*) ও মোসাদ্দেক হোসেনের (১০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৫*) হার না মানা দুটি ইনিংস। ১১ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়ে ২৬ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের জন্য তাই জমাট প্রস্তুতিই সেরে রাখল তামিম ইকবালের দল।
এই ম্যাচে অধিনায়ক নিজে খেলেন ৪৭ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩৭ রানের ইনিংস। ৪৫ রানে ওপেনিং জুটি অবশ্য ভাঙে সৌম্য সরকারের বিদায়ে (২৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৩)। এরপর অবশ্য তিনে মিঠুনের ব্যাটিংয়ে ছিল আপাতত সাকিবের শূন্যতা ভরাতে পারার ইঙ্গিত। যদিও তিনি নিজে এসব ভেবে চাপ বাড়াতে রাজি নন, ‘আমি আসলে ওই রকম কিছু চিন্তাই করছি না। সাকিব ভাই যেহেতু নেই, কাউকে না কাউকে ওই জায়গাটায় ব্যাটিং করতেই হতো। এমনিতে ওপরে যারা ব্যাটিং করে, তাদের দায়িত্বই থাকে লম্বা ইনিংস খেলার। আমারও সেই চেষ্টাই থাকবে।’ বিশ্বকাপ-পরবর্তী সিরিজ সামনে রেখে যিনি বিশ্ব আসরের কথা ভুলে থাকাকেও ভীষণ জরুরি বলে মনে করছেন, ‘বিশ্বকাপে যে প্রত্যাশা ছিল, সেটি আপনাদের পূরণ হয়নি। তেমনি আমাদেরও পূরণ হয়নি। তবে আপনাদের চেয়ে ওটা নিয়ে আমাদের চিন্তাই বেশি। কারণ আমরা খেলেছি। দায়ভারও আমাদের নিতে হবে। আমি নিজেকে আরো ভালোভাবে প্রস্তুত করেছি নতুন আরেকটি সিরিজের জন্য। কাজেই আমরা যদি ওটা (বিশ্বকাপ) ভুলে নতুনভাবে আবার শুরু করতে না পারি, তাহলে ওই (খারাপ) ফল ফিরে আসার আশঙ্কাই বেশি। তাই ওটা ভুলে যদি নতুনভাবে শুরু করি ও চেষ্টা করি, তাহলে আশা করি সফলই হব।’ সফল হওয়ার ক্ষেত্রে স্রেফ প্রস্তুতি ম্যাচের জয়ও এখন কম গুরুত্বপূর্ণ নয় মিঠুনের কাছে, ‘যেকোনো টুর্নামেন্টে শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একজন খেলোয়াড়ের ভালো অবস্থায় থাকা এবং আত্মবিশ্বাসের মধ্যে থাকা জরুরি। দল হিসেবে আত্মবিশ্বাসী থাকলে দিনের শেষে ফল বের করে আনতে তা সহায়কই হয়।’ কতটা সহায়ক হচ্ছে, এর জবাব মিলতে শুরু করবে ২৬ জুলাই থেকেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশ : ৫০ ওভারে ২৮২/৮ (শানাকা ৮৬*, জয়াসুরিয়া ৫৬, রাজাপাকশে ৩২, হাশারাঙ্গা ২৮, গুণাতিলকে ২৬; সৌম্য ২/২৯, রুবেল ২/৩১, ফরহাদ ১/২২, মুস্তাফিজ ১/২৯, তাসকিন ১/৫৭)।
বাংলাদেশ : ৪৮.১ ওভারে ২৮৫/৫ (মিঠুন ৯১, মুশফিক ৫০, তামিম ৩৭, মাহমুদ উল্লাহ ৩৩, সাব্বির ৩১*, মোসাদ্দেক ১৫*, সৌম্য ১৩; কুমারা ২/২৬)।