মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের নওপাড়া মখাবান্ধি গ্রামের হাসিবুল ইসলামের স্ত্রী মমতাজ বেগম শনিবার বিকেলে বাবার বাড়ি বরমতলা হতে স্বামীর বাড়ি নওপাড়া ফিরছিল।
মেয়ের পিতা মেয়েকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য ভেলার হাট বাজারে নিয়ে আসে।বিকেল ৫ টার দিকে সিরাজুল ইসলাম তার মেয়েকে রুহিয়ার রাস্তার মাথায় দাড়িয়ে রেখে নাতি নাতনিদের জন্য ফলমুল কিনতে যায়।
এদিকে গৃহবধূ মমতাজকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বখাটে ভেলার হাট গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা হাসিম উদ্দীনের ছেলে আল আমিন তাকে পেছন দিক থেকে জাপটে ধরে এবং রাস্তায় ফেলে শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিয়ে অসত উদ্দেশ্যে ধস্তাধস্তি করে। এসময় বখাটে আল আমিন ওই গৃহবধূর স্তন ও গালে কামড় দেয়।
এসময় ওই গৃহবধূর চিৎকারেে লোকজন ছুটে এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায় বখাটে আল আমিন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই রুহিয়া থানায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়।কিন্তু পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান না চালিয়ে তদন্তের জন্য এসআই কামালকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে।
রোববার এসআই কামাল সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলেও ঘটনাটি পুর্ব ঘটনার প্রতিশোধ পরায়ন বলে দাবি করেছেন।
এ রিপোর্ট লেখা অবধি থানায় মামলা রুজু করা হয়নি।
মেয়ের পিতা সিরাজুল ইসলাম বলেন,যে ছেলে বাজারের মাঝখানে একটা মেয়েকে ধরে ধস্তাধস্তি করতে পারে তাকে ক্রসফায়ার দেওয়া উচিত। নইলে এসব ঘটনায় অপরাধীরা সাহস পাবে।
রুহিয়া থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় জানান, গৃহবধূর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে । ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা রুজু করা হবে।