মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: অফিস সহায়ক এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় বদলির আদেশপত্র জামালপুরে পৌঁছার আগেই শনিবার রাতের আঁধারে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীর তার সরকারি বাসভবন ত্যাগ করেছেন। আপত্তিকর ভিডিওর সেই আলোচিত নারী একই কার্যালয়ের অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা আত্মগোপনে রয়েছেন। তিনি আজ রবিবার সকাল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজীব কুমার সরকার।
এদিকে আপত্তিকর ওই ভিডিও নিয়ে তোলপাড় চলা অবস্থায় আজ রবিবার জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একই সাথে নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগের সরকারি প্রজ্ঞাপনের আদেশপত্র জামালপুরে পৌঁছেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আপত্তিকর ভিডিও কেলেঙ্কারির ঘটনায় রবিবার জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে ঢাকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) পদে বদলির আদেশ দিয়ে তাকে জামালপুর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পরিকল্পনা মন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ এনামুল হককে জামালপুরের নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে একই মন্ত্রণালয়। বদলি এবং নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগের দুটি আদেশপত্রই হাতে পেয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজীব কুমার সরকার। তিনি দুপুরে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আলোচিত সেই অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা আত্মগোপনে রয়েছেন। শুক্র ও শনিবার দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটির পর অফিস খুললেও ওই অফিস সহায়ক রবিবার তার কর্মস্থলে যোগদান করেননি। তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে আহমেদ কবীরকে তার জেলা প্রশাসকের পদ থেকে প্রত্যাহার বা বদলির আদেশপত্র হাতে পাওয়ার আগেই গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ পাহারায় তিনি তার সরকারি বাসভবন ত্যাগ করেছেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চার মিনিট ৫৮ সেকেন্ড ও ২৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যাতে জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরকে এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ভিডিও প্রকাশের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে। তবে জেলা প্রশাসক ঘটনাটি অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। তবে শুক্রবার সকাল থেকে ওই আইডিতে ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার আগেই তা ভাইরাল হয়।