মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনী জেলা কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় কন্যা সন্তানের মা হলেন নুসরাত হত্যা মামলার আসামি কামরুন নাহার মনি। তিনি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গত ছয় মাস ধরে কারাগারে বন্দি আছেন।
জেলা কারাগারের জেলার দিদারুল আলম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বন্দি কামরুন নাহার মনির প্রসব বেদনা শুরু হলে দ্রুত তাকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে রাত সাড়ে ১২টায় মনি কন্যা সন্তান জম্ম দেন। হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেলে তাকে কারাগারে নিয়ে আসা হবে।
ফেনী হাসপাতালে থাকা মনির মা নুরের নাহার মুঠোফোনে জানান, মনি অসুস্থ থাকলেও নবজাতক সুস্থ আছে।
নুসরাত হত্যা মামলায় মনি যখন গ্রেফতার হন তখন তিনি প্রায় ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মামলার বিচার কাজ শুরু হলে মনিকে প্রতি কার্য দিবসে আদালতে হাজির করা হয়। তার আইনজীবী কয়েকবার জামিন চাইলেও আদালত নামঞ্জুর করেন। অন্তঃসত্ত্বা থাকার কারণে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে বিচারকাজে অংশ নেওয়ার আবেদন জানালে আদালত সেটাও নামঞ্জুর করেন।
আদালতে মনির আনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার আবু তাহেরের নেতৃত্ব গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ২৪ সেপ্টেম্বর সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ দিয়ে তাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ৩৪২ ধারায় আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার সময় কামরুন নাহার মনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে পিবিআই হেফাজতে তাকে চরম নির্যাতন ও পেটে লাথি মেরে বাচ্চা নষ্ট করার হুমকি দিয়ে জবানবন্দি আদায়ের অভিযোগ করেন।
তিনি কাতর কণ্ঠে আদালতে বলেছেন, স্যার আদালতে আসতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। তারপর বিচারক মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন পেয়েছি জানিয়ে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।
নুসরাত হত্যা মামলায় মনি দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে মামলার বিচার কাজ শুরু হলে আদালতে জবানবন্দির বিরুদ্ধে ডিনাই পিটিশন দাখিল করেন। পিটিশনে পিবিআইর বিরুদ্ধে নির্যাতন করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ করেন। মামলার অভিযোগপত্র মাদ্রাসার সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে যে পাঁচ আসামি নুসরাতকে আগুন লাগানোর অভিযোগ আনা হয়েছে মনি তাদের একজন।