শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সড়ক উন্নয়ন করছি। সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে। কোন সড়কে কত ট্রাক বা ওজনের যানবাহন চলতে পারে সে বিষয়টা একটু খেয়াল রাখা দরকার। অনেকে এটা মানতে চান না।আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তৈরি করে দিচ্ছি। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এবং এটা যাতে অচিরেই নষ্ট না হয় সে বিষয়ে যারা ব্যবহার করবেন এবং স্থানীয় জনগণ সবারই দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা সে দায়িত্ব পালন করবেন। যে কোনো একটা কাজের জন্য শুধু রাজধানীমুখী হলে হয় না, দিনে এসে দিনে কাজ করে ফিরে যেতে পারে। বর্তমানে আমরা এমনভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা করছি যে মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যে এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যোগাযোগ করতে পারবে।তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের কথা আমরা বলছি। ইতোমধ্যে নিরাপদ সড়ক আইন প্রণয়ন করেছি। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ যারা চলাচল করেন তারা কিন্তু মোটেও সচেতন না। তাদের সচেতন হতে হবে।শেখ হাসিনা বলেন, যারা রাস্তায় চলাচল করে, আপনি যখন রাস্তা পার হবেন এই পারাপার করবার সময় আপনাকে ডানে-বায়ে সব দিকে খেয়াল রেখে সচেতনভাবে পার হতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবার রাস্তায় যারা গাড়ি চালাবেন তাদেরও সচেতন হতে হবে। এই কারণে যে অহেতুক একটা প্রযোগিতা করতে গিয়ে একটু দুর্ঘটনা হয়। অনেক সময় রাস্তায় যেকোনো যানবাহন চালানোর সময় বা চলার সময় সবাইকে একটা দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। দুর্ঘটনা ঘটবে আর সেই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে? একটা দুর্ঘটনা ঘটলে শুধু চালককে দায়ী করলে চলবে না। বরং কী জন্য দুর্ঘটনা ঘটলো তার জন্য যিনি পথচারী বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত যে চালক তাদের কী ভুল আছে সেটাও কিন্তু দেখা দরকার। চালক থেকে শুরু করে যারা সড়ক ব্যবহার করে সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার বলে আমরা একান্তভাবে প্রয়োজন বলে মনে করি।শেখ হাসিনা বলেন, স্কুল থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে আমাদের ছেলেমেয়েদের সচেতন করতে হবে। রাস্তার কোন দিক থেকে হাঁটতে হবে সেটাও কিন্তু একটা শিক্ষণীয় বিষয়। কখন পার হতে হবে সেটাও কিন্তু শিক্ষাণীয় বিষয়। আমি মনি করি, আমাদের প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের এই শিক্ষাটা দেওয়া একান্ত দরকার।তিনি বলেন, এক সময় মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা ছিল না। আমরা খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এদেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। দারিদ্রের হার কমিয়ে এনেছি, প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা গৃহহারা মানুষের ভাগ্যউন্নয়নে কাজ করছি। দেশের শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে মেডিকেল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে যাচ্ছি। এ ছাড়া দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। ময়মনসিংহ-গফরগাঁও-টোক সড়কের ৭২তম কিলোমিটারে বানার নদীর ওপর পিসি গার্ডার সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের ইন্দ্রপুল হতে চক্রশালা পর্যন্ত বাক সরণীকরণ, ভোমরা স্থলবন্দর সংযোগসহ সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় ৪-লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।