মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
চলন্ত বাসে ফের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বাসের চালক ও সহকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুরে। ধস্তাধস্তিকালে ওই ছাত্রী লাথি দিয়ে জানালার কাচ ভেঙে ফেললে পথচারীরা টের পায়। পরে তারা মহাসড়ক পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিক পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। ওই সময় বাসচালকের দুই সহকারীকে আটক করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চালক পালিয়ে যায়। ওই সময় চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-জ-১৪-০৪৯৩) জব্দ করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে উপজেলার মাওনা ফ্লাইওভারে ঘটনাটি ঘটে।
স্কুলছাত্রীর বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায়। সে রাজধানীর মিরপুর ১ এ আত্মীয়ের বাসায় থাকে। সেখানে পাশের একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সে। পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিং ও অভিনয় করে ওই স্কুলছাত্রী।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আমড়া গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে জুয়েল (২৮) ও নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার চন্দনকান্দি গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে আশিক (২২)। তারা দুজনই চালকের সহকারী।
আটক হওয়া দুজন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাসচালকের নাম হারুন মিয়া ও তার বাবার নাম মৃত আবদুল কুদ্দুস বলে জানিয়েছে। তবে বাসচালকের ঠিকানা জানাতে পারেনি তারা।
মাওনা মহাসড়ক থানার ওসি মঞ্জুরুল হক জানান, গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় নাটকের শুটিং ছিল তার (স্কুলছাত্রী)। শুটিংয়ে অংশ নিতে মিরপুর থেকে রাত সাড়ে আটটার দিকে চান্দনা চৌরাস্তায় নামে সে। পরে সেখান থেকে সে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলকারী চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে উঠে। কিছুদূর যাওয়ার পর চালকের ‘সমস্যা আছে’ বলে সহকারীরা বাস থেকে অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। ওই সময় চালক স্কুলছাত্রীকে আশ্বস্ত করে জানায়, তার সমস্যা থাকলেও তাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। পরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছে না দিয়ে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে শ্রীপুরের মাওনা উড়াল-পথে চলে আসে তারা। সেখানে উড়াল-পথের উপর বাসের ভেতর তারা স্কুলছাত্রীকে মুখ বেঁধে ধর্ষণচেষ্টা চালায়। ধস্তাধস্তিকালে স্কুলছাত্রী পা দিয়ে জানালার কাঁচ ভেঙে ফেললে মহাসড়কে দুই পাশে পথচারীরা টের পায়। পরে তারা মহাসড়ক পুলিশকে জানালে পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।