মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
মোংলা প্রতিনিধি: সাগরপাড়ে তিনদিনব্যাপী রাস উৎসব উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই মন্দির নির্মানসহ সখল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে মেলা উদযাপন কমিটি। কিন্ত ওই সময় মন্দির মেলার আনুসাঙ্গিক প্রস্তুতকারীরা সেখানে গেলেও কিছু সংখ্যক হরিনসহ বন্যপ্রানী শিকারীরা তাদের বেশধরে এরই মধ্যে বিভিন্ন কৌশল বনে বিতরে প্রবেশ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে আরো তিনটি শিকারী গ্রুপ সুন্দরবনের পশুন নদীর নন্দবালা এলাকা থেকে যাওয়ার সময় তাদের আটক করেছে চাদঁপাই রেঞ্জে’র বন বিভাগ। নদী দিয়ে যাওয়ার সময় সোমবারের এ বহড় থেকে উদ্ধার করা হয় ৩টি ইঞ্জিনন চালিত ট্রলার, হরিন শিকারের ফাদ ও দেশীয় অস্ত্র। এসময় ৬০জন হরিন শিকারীকেও আটক করেছে বন রক্ষীরা।
পূর্ব সুন্দরবন চাদপাই ক্যাম্পের ষ্টেশন ইনচার্জ মোঃ কামরুল হাসানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার ভোররাতে বনের নন্দবালা খাল সংলগ্ন নদী থেকে লোক বোঝাই তিনটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার দ্রুত চালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের চ্যালেন্স করে বন বিভাগের সদস্যরা। বন রক্ষীদের দেখে শিকারী গ্রুপটি ট্রালারসহ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাদের আটক করে। লোকসহ ট্ররার তিনটি চাদঁপাই ষ্টেশনে আনার পর তাদের তল্লাশী করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ট্রলারে মধ্যে হরিন ধরার ফাদঁ, নিষিদ্ধ নেট জাল, দেশীয় অস্ত্র দাও, কুড়ালসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদী উদ্ধার করা হয়। এসময় অবৈধভাবে হরিন ও বনপ্রানী শিকারের উদ্দেশ্যে বনে প্রবেশের অপরাধে একটি শিশুসহ ৬০জন হরিন শিকারীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত সকলেই বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার গৌরম্বা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্ধা। সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহিন কবির জানান, বন বিভাগের নিয়মিত টহলের সময় তাদের আটক করা হয়। বন বিভাগের অনুমতি বিহীন তারা অসৎ উদ্দ্যেশে বনে প্রবেশ করতে ছিলেন। তাদের নিকট থেকে হরিণ স্বীকারের নানা রকম সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। আটককৃতদের বন আইনে সাজার ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, রাস উৎসবকে টার্গেট করে সংঘবদ্ধ হরিণ শিকারী চক্রগুলোও ইতিমধ্যে তৎপর হয়ে উঠছে কিন্ত আমাদের চোখ ফাঁিক দিয়ে বনের গহীনে যাওয়ার সুযোগ নাই। আটক এসকল শিকারী দল রাস মেলায় তীর্থ যাত্রী বা দর্শণার্থীর আড়ালে হরিণ নিধনের ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছিল। তবে রাস মেলাকে ঘিরে সুন্দরবনের বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণী শিকার ও পরিবেশের ক্ষতি রোধে এবং যাতায়াতে আটটি রুট নির্ধারনসহ চারদফা সতর্কতা জারি করেছে বনবিভাগ। এবার হরিণ শিকার ও অন্যান্য বন্য প্রানী নিধন রোধসহ যে কোন নাশকতা দমনে বন রক্ষীসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক সতর্ক অবলম্ভন করবে। একই সাথে পরবর্তীতে সুন্দরবনে কোন পাচারকারী অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে দিকে তাদের নজরদারী থাকবে বন রক্ষীদের।