মঙ্গলবার, ০৩ Jun ২০২৫, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ডিমলায় পশুর হাটে চলছে ইচ্ছে মতো খাজনা আদায়, ৫০০ টাকার খাজনায় ভ্যাট ৫০০ সারা দেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি সিরাজগঞ্জের গাবগাছি হিন্দু পাড়ার রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদ শরণখোলা উপজেলার ৪ নং সাউথখালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির গঠনে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন জেলে না হয়েও পেলেন সরকারী প্রকল্পের বাছুর: মাঠ সহায়কের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ সিরাজগঞ্জে “উদ্বোধন” হলো মরহুম মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫ এক ‘যাত্রা বিরতি’ নাটকে ৫০০ অভিনয়শিল্পী! অপপ্রচারের শিকার যুবদল নেতা জাহিদ মোড়ল: প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ আরাকান আর্মির হাতে মিয়ানমারের জেনারেল নিহত, চলছে লড়াই শেরপুরে পানিতে ডুবে নিলা ও শীলা নামে দুই জমজ বোনের মৃত্যু
রাজউক নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : গণপূর্তমন্ত্রী

রাজউক নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : গণপূর্তমন্ত্রী

ভিশন  বাংলা ডেস্ক: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দুর্নীতি নিয়ে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলছেন, ‘ভুল তথ্যের ভিত্তিতে রাজউককে হেয় করে বাহবা নেয়ার চেষ্টা করেছে টিআইবি।’

বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজউকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছাড়পত্র-নকশা অনুমোদনে দালালের মাধ্যমে চুক্তি হয়ে থাকে। রাজউকের কর্মকর্তা, দালাল ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের মাধ্যমে চুক্তি করে সুনির্দিষ্ট হারে নিয়মবহির্ভূত অর্থ নেয়া হয়। এ ছাড়া সেবাগ্রহীতা ইমারত নকশা অনুমোদনে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘সংবাদপত্রে টিআইবির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে যে সংবাদ এসেছে সেখান থেকে আমি অবহিত হয়েছি- রাজউকে সেবা নিতে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ লাগে। এই বক্তব্যটি কোনোভাবে সত্য নয়, এর কোনো ভিত্তি নেই। এটা সম্পূর্ণরূপে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জনবান্ধব একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে হয়তো কারও দেয়া ভুল তথ্যের ভিত্তিতে হেয়প্রতিপন্ন করে আলাদা একটা বাহবা নেয়ার চেষ্টা করেছে তারা।’

তিনি বলেন, ‘তাদের এই অভিযোগের কী ভিত্তি, সেই ভিত্তি কোথায়? তারা সুস্পষ্টভাবে বলেননি।’

রেজাউল করিম বলেন, ‘একটি অভিযোগে তারা বলেছেন বিশেষ প্রকল্পের ক্ষেত্রে রিয়েল স্টেট ডেভেলপারকে ১৫ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। আমি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এ জাতীয় কোনো প্রকল্পের অনুমোদনই হয়নি।’

‘আমি এক বছরের বেশি সময় আগে মন্ত্রী হয়েছি। বিশেষ প্রকল্পে ১৫ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয় এই তথ্য তারা কোথায় পেলেন? এই জাতীয় কোনো প্রকল্পই তো পাস করা হয়নি।’

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (টিআইবি) বলেছেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। আমি মন্ত্রী হওয়ার পর আজ পর্যন্ত কোনো নিয়োগই হয়নি। নিয়োগ না হলে রাজনৈতিক প্রভাবের অবকাশ আসল কোথা থেকে? নিয়োগের জন্য আবেদন করা হয়েছে, আমরা এখন পর্যন্ত এডমিট কার্ডও ইস্যু করিনি। এর ভেতরে তারা বললেন, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, এটাতে তারা দুর্নীতির একটি অভিযোগ হিসেবে উত্থাপন করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাবি প্রদানের ক্ষেত্রে টাকা দিতে হয় বলেছেন- একবারই মাত্র উত্তরা থার্ড ফেজে ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজউকে সংবাদ মাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে লটারি করে চাবি দেয়া হয়েছে। কেউ যদি অ্যাবসেন্ট থেকে থাকেন তারা পরবর্তী সময়ে চাবি নিয়েছেন।’

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com