শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন
জনি সাহা : রামগঞ্জ পৌরশহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্হিত বড় পুলটির একটি ঐতিহাসিক পরিচিতি রয়েছে। স্বাধীনতার প্রায় তিন দশকপরে পুলটি সংস্কার করে নিচু করা হয় যানবাহন চলাচলের সুবিধার জন্য।
নুরপ্লাজা, রামগঞ্জ টাওয়ার, সিটি প্লাজা নির্মিত হওয়ার পূর্বে যে কেউ বড় পুলের নাম ব্যবহার করে নিজের অবস্থান তুলে ধরতেন অন্যের সাথে সাক্ষাত লাভ বা মিলিত হবার সুবিধার্থে বর্ষাকালে পানির প্রবল স্রোতের কলকল ধ্বনি, পুল পার হওয়ার সময় পথচারীরদের সহজে দৃষ্টি কেড়েনিত।
সে বিরল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখন হয়তো আর দেখা সম্ভব নয়।অদূর ভবিষ্যতে পুলটির প্রয়োজনীয়তা পুরিয়ে যেতে পারে। পুলটির ওপর দাঁড়িয়ে নিচে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে।
এর ফলে এক দিকে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে অন্যদিকে খালটি ক্রমশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে এবং ব্যক্তি স্বার্থেও পুলটি ব্যবহার হচ্ছে। অথচ ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে পুলটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
পুলটির নিচ দিয়ে প্রবাহমান খালটি, ডাকতিয়া নদীর একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা এবং ডাকাতিয়া নদী চাঁদপুরে,
পদ্মা ও মেঘনা নদীর মোহনায়, মেঘনা নদী হতে প্রবাহিত হয়েছে।
এক সময় চাঁদপুর হতে সোনাপুর ও রামগঞ্জ বাজারে মালামাল পরিবহন এবং যাত্রী আসা -যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ ছিল ডাকাতিয়া নদী ও এর শাখা নদীটি। বড় পুলটির একটু দক্ষিণে, বর্তমান জনতা টাওয়ারের স্হানে রামগঞ্জ বাজারের বড় নৌঘাট ছিল।
যেখানে বড় বড় নৌকা এবং ছোটখাটো লঞ্চ ভিড়ত।
কালের যাত্রায় এ খালটি হয়তো হারিয়ে যাবে। কিন্তু প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এ খালটির স্বাভাবিক অবস্হা বজায় রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
বিষয় গুলোর প্রতি সুদৃষ্টি দেয়া আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব।