শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী হয়ে উঠা করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয় চীনের উহানে। পরবর্তীতে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। কিন্তু উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে চীন।
সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভয়াবহ এই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস।
আজ সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জি মিং স্বাক্ষরিত এক খোলা চিঠিতে এ প্রতিশ্রুতির কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে সারা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস বিস্তৃত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত সংবাদে বাংলাদেশে ৪৯ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনাভাইরাস সারা বিশ্বের মানুষের নিরাপত্তার জন্যই হুমকি। ২৯ মার্চ পর্যন্ত এ ভাইরাস বিশ্বের ১৯৯টি দেশে বিস্তৃত হয়েছে। প্রতিটি দেশই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা গভীরভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। চীনে যখন করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি ঘটে, তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানিয়ে আমাদের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে চিঠি দিয়েছিলেন। সে সময় বাংলাদেশের সরকার ও সমাজের প্রতিনিধিরা চীনকে মেডিক্যাল সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তাও দিয়েছে। বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় চীন ৪০ হাজার ৫০০ টেস্ট কিট, ১৫ হাজার সার্জিক্যল মাস্ক, তিন লাখ মেডিক্যাল মাস্ক, ১০ হাজার গাউন ও এক হাজার থার্মোমিটার সহায়তা দিয়েছে।
এছাড়া চীন দূতাবাস ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চীনের মেডিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে বাংলাদেশের মেডিক্যাল এক্সপার্টদের মতবিনিময়েরও ব্যবস্থা করেছে। আমরা জানাতে চাই, এই মহামারীর সময় ও মহামারী শেষেও বাংলাদেশের প্রকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবো। করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে চীন দূতাবাস পাশে থাকবে।
শুধু বাংলাদেশ নয়, করোনার এই ক্রান্তিকালে চীন এরই মাঝে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডাব্লিউএইচও) ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে। এছাড়া বিশ্বের ৮৯টি দেশে মেডিক্যাল সরঞ্জাম দিয়ে তারা সহায়তা করছে বলেও ওই চিঠিতে জানানো হয়।