শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
ইব্রাহিম সুজন, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
মহামারী করোনা ভাইরাস আতংকের মধ্যেও যেন মরার উপর খরার ঘা । বৃহস্পতিবার
রাত্র ২.৩০ মিনিটে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে একটানা বিশ মিনিট মুষলধারে
শিলাবৃষ্টি বর্ষিত হয়। এতে ঘরবাড়ি, দোকান পাটের টিনের চালা, ফসলি মাঠ, ও
গাছপালার ব্যাপত ক্ষতি হয়েছে। কোভিড-১৯ কারনে দেশে চলছে নিরভ দূর্ভিক্ষ।
সরকার ও কৃষিস্প্রসারন অধিদপ্তরের পক্ষ বলা হচ্ছে এক খন্ড মাটি যেন খালি
না থাকে। এই মাটিতে ফলানো ফসলই চলমান দূর্ভিক্ষ থেকে পরিত্রান পেতে সহায়ক
ভূমিকা রাখতে পারে। ইরি বুরো এদেশের কৃষকের একটি বড় স্বপ্ন। এই ফসলটা ঘরে
তোলার জন্য কৃষক যখন তীর্থের কাক হয়ে অপেক্ষা করছিল ঠিক তখনই কালবৈশাখী
ঝড় ও শিলবৃষ্টির তান্ডব লিলায় নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের ফসলি মাঠ। নীলফামারী
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এই ঝড় ও শিলবৃষ্টির কারনে ঢেউটিন
ছিদ্র হয়ে ঘরে পানি পড়ছে। গাছপালা ভেঙ্গে বাড়ি-ঘর রাস্তার উপর পড়ে আছে।
আচমকা শিলাবৃষ্টির পরে এই সব এলাকার বিঘার পর বিঘা জমির ফসল মাটির সঙ্গে
মিশে গিয়েছে। গাছ থেকে ঝড়ে গেছে ধান। এগুলোর বাহিরেও কোন কোন এলাকায়
মরিচ, ধান, ভুট্টা ও পাটের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। পলাশবাড়ী
ইউনিয়ন মাষ্টারপাড়া থেকে সুবাশ রায় জানান, ফসলের ব্যবপক ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও উপজেলার ডোমার , ডিমলা, কিশোরগন্জ, সৈয়দপুর, জলঢাকা, সহ বিভিন্ন
ইউনিয়নের বিভিন্নগ্রামে কৃষি ও ঘরবাড়ীর ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন
কৃষকরা। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জানান-গতকালের শিলাবৃষ্টির
কারনে উপজেলার প্রায় বিভিন্ন গ্রামের টিনের চাল দোকাপাট ও ফসলের ক্ষতি
হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আমাদের মাঠে এখন হারভেস্টার করার মত
ফসল আছে ধান ও ভূট্টা, পাট । ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা যায়নি।