শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ! টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের তার খাম্বা মিটার এনে দেন ইলেকট্রিশিয়ান জুলিয়ান!
করোনা আতঙ্কে মন শান্ত রাখুন

করোনা আতঙ্কে মন শান্ত রাখুন

ডেস্ক নিউজ: করোনা মহামারির কারণে যে মানসিক চাপ, তা শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার কাছে আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, এই দমবন্ধ অবস্থা কবে কাটবে? এই মাহামারি থেকে কবে পরিত্রাণ মিলবে মানব জাতির? অথচ এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই বিশ্বের কারোরই।

মানুষের মধ্যে যেভাবে উদ্বেগ, একাকীত্ব, অবসাদের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছে। গৃহবন্দি অবস্থায় আতঙ্কে মানুষের প্রতিরোধ সক্ষমতা ভেঙে গেলে কী হবে তাদের অবস্থা? একটি রাষ্ট্র কীভাবে সামলাবে সেই মনোরোগীর চাপ?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বিজ্ঞানীরাও এ নিয়ে আশঙ্কা জানিয়েছেন। সম্প্রতি ‘ইমারজিং ইনফেকসাশ ডিজিজ’ নামে এক নিবন্ধে তারা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনের জোরে এই বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন, বাকিরা কিন্তু তা একেবারেই পারছেন না।

এই নিবন্ধে বলা হয়েছে, একটা সংকটের মধ্য দিয়ে আমরা সবাই চলেছি। কী তার পরিণতি তা কেউই জানি না। কাজেই অহেতুক ভেবে মাথা খারাপ করে কোনো লাভ নেই। বেশি ভাবলে মানসিক অশান্তি বাড়বে। আতঙ্কিত হলে তার প্রভাব পড়বে পরিবারের অন্য সদস্যদের ওপর। আবার এটা পরীক্ষিত সত্য যে মানসিক চাপ বাড়লে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। তাই আতঙ্কিত হয়ে নিজের শরীরকে দুর্বল করে ফেলার কোনো মানে নেই।

সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, অযথা টেনশনে ভোগার আগে ভেবে দেখুন, পৃথিবীতে এ রকম মহামারি আগেও এসেছে। মানুষ তা অতিক্রমও করেছে। এই মহামারিও সেভাবে অতিক্রান্ত হয়ে যাবে। এখন বরং চিকিত্সাবিজ্ঞান অনেক বেশি উন্নত। জীবাণুটিও যতটা ছোঁয়াচে, তত বেশি মানুষ মরছে না। কাজেই এই হঠাত্ পাওয়া ছুটিটাকে অবহেলায় বয়ে যেতে দেবেন না। বরং ভালো করে উপভোগ করুন।

বাসায় থেকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত খবর এড়িয়ে চলুন। দিনে এক ঘণ্টার বেশি খবর না দেখার পরামর্শ তাদের। এরচেয়ে বই পড়ে, সিনেমা দেখে পরিবারের মানুষের সঙ্গে গল্প কিংবা ইনডোর খেলাধুলা করে সময় কাটাতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, করোনা আসার পর ভারতে মনোরোগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। অর্থাত্, প্রতি পাঁচ জন ভারতীয়ের মধ্যে এক জন ভুগছেন মানসিক সমস্যায়। প্রাণের ভয় ও আর্থিক অনিশ্চয়তার মুখে অসহায় হয়ে পড়ছে মানুষ। যেন এক অন্ধ গলিতে ঢুকে পড়েছে সবাই, যা থেকে বের হওয়ার কোনো রাস্তা জানা নেই।

এই সমীক্ষার পরামর্শে বলা হয়েছে, অনেক বেশি সময় হাতে? কীভাবে কাটাবেন বুঝতে পারছেন না? একটু ব্যায়াম করতে পারেন, ঘরের কাজ করেন, বইপত্র পড়তে পারেন। ফোনে পুরোনো বন্ধু, আত্মীয়দের নিয়মিত খোঁজ নিন। এতেই ভালো সময় কাটবে। মূল কথা, নিজেকে ঘরের কাজে ব্যস্ত রাখুন, করোনার দিক থেকে মন সরিয়ে ফেলুন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com