মোঃ ইব্রাহিম সুজন, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী ডোমার সদর উপজেলায় একই পরিবারে দুই শারীরিক প্রতিবন্ধী সদস্য
নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তাহার ছোট ভাই মোঃ সামছুল আলম।
জানা যায়, ডোমার উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বচিকনমাটি (ডাঙ্গাপাড়া)
বাসিন্দা চাঁনু সরকার (৬৫)। ডোমার শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে ২০০
মিটার দূরত্বে পাকা সড়কের পাশেই সামান্য জমির ওপর কাঁচা-পাকা ঝুপড়ি ঘরে
সপরিবারে বড় (সামছুল আলম) ভাইয়ের বাসায় থাকেন তিনি। হতদরিদ্র স্ত্রী
শান্তা বেগম (৪৫) জীবন চলে দেবরের (স্বামীর ছোট ভাই) বিস্কিট
ফ্যাক্টারীতে শ্রমের বিনিময় চলে তাদের সংসার।
স্বামী চাঁনু সরকার ব্যবসা করতেন কিন্তু স্ট্রোকের পর পক্ষাঘাতগ্রস্ত
হয়ে যাওয়ায় বছর তিনেক হলো কোনোরকমে চলতে-ফিরতে পারেন। শান্তার বেগমের
একমাত্র ছেলে স্বাধীন (১৩), থাকলেও শারিরিক প্রতিবন্ধী
এব্যাপারে ডোমার উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সামিউল বলেন,
প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড অপ্রতুল হওয়ায় তাদের সবার ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না।
একই পরিবারের শতভাগ প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা হলেই কেবল তাদের
সবাইকে ভাতার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
এদিকে ডোমার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফিরোজুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে
কোনো পরিবারে শতভাগ প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। ২০১৬ সালে একটি
এনজিওর মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর একটি প্রতিশ্রুতি আছে দেশের শতভাগ প্রতিবন্ধীদের ভাতার
আওতায় আনা হবে। সেটি হলেই কেবল ওই পরিবারের সবাইকে ভাতা দেওয়া সম্ভব
হবে।”