শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
ইব্রাহিম সুজন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের (ব্রি হাইব্রিড-৬) আমন ধানবীজ বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সন্ধা ৫ টায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট(ব্রি) রংপুর অঞ্চল মাধ্যমে ধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এদিকে নতুন জাতের ধানবীজ বিনামূল্যে পেয়ে কৃষকগণকে বেশ উপকৃত হচ্ছেন।
জানা গেছে, চলতি আমন মওসুমে এবার নীলফামারী উপজেলায় প্রায় ৩৬ হাজার ৭ শত ৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
অধিকাংশ জমিতে স্থানীয় স্বর্ণা জাতের ধান রোপন করা হয়। বছরের পর বছর একই জাতের ধান চাষ করায় ধানের রোগ বালাই বেশি দেখা দিতে শুরু করেছে।
এছাড়া এ ধানচাষে সময় বেশি লাগে।ফলে আগাম রবি শস্য চাষাবাদ করতে কিংবা দু-ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রুপান্তর করতে চাষীদের সমস্যায় পড়ে। তাই দু-ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রুপান্তর করা, চাষীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) রংপুর অঞ্চল উদ্যোগে ১৮৪ জন কৃষককে উচ্চ ফলনশীল ও আগাম জাতের ব্রি হাইব্রিড ৬ জাতের ধানবীজ সার ও কারিগরি সেবা প্রদান করার যুগোপযোগী উদ্যোগ গ্রহন করেছে।
এর ধারাবাহিকতায় নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ী গ্রামের কৃষক বিকাশ চন্দ্র রায় সহ ২৩জন চাষী উপরোক্ত সেবায় আন্তরভুক্ত হয়েছে যারা সবাই বিনামূল্যে ধানবীজ, সার ও পরামশ পেয়ে একই জমিতে বছরে তিন ফসল উৎপাদন করার জন্য আগাম জাতের এ ধান চাষ করবো বলে অঙ্গীকার বদ্দ।
এব্যাপারে বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট রংপুর অঞ্চল বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তপন রায় বলেন, করোনা পরবর্তীতে দেশে যাতে খাদ্যের সংকট না হয় এবং প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে একই জমিতে বছরে যাতে তিন ফসল ফলানো যায় সেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ধানবীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পলাশবাড়ী ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার রায়, ইউ.এস.এস এর প্রতিনিধি বাবু ননি গোপাল রায়,
সাংবাদিক ইব্রাহিম সুজন, নাজমুল হোসেন ও এলাকার কৃষকগণ।
এর ধারাবাহিকতায় ব্রি হাইব্রিড ৬ বীজতলা থেকে ধানকাটা পর্যন্ত মাত্র ১১০ থেকে ১১৫ দিন সময় লাগে। প্রতি একরে ৬০ থেকে ৬৫ মণ হারে ফলন হবে। এ ধানের চাল লম্বা ও চিকন ভাত ঝরঝরে।
এই ধান অক্টোবর মাসের ২৫ তারিখ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ধান কাটামাড়াই শেষ হয়। ফলে কৃষক ওই জমিতে রবি শস্য হিসেবে আগাম আলু, সরিষা, গম চাষ করতে পারে। এরপর আবার ইরি বোরো ধান চাষ হবে। একই জমিতে বছরে তিনটি ফসল অনাসে চাষাবাদ করা যায়।