মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের কৃষি পুনর্বাসন ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সব কর্মকর্তাদের তৎপর থাকতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দিন দিন বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে। বন্যার পানি নেমে গেলে জরুরি ভিত্তিতে কৃষি পুনর্বাসন ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কাজ করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আজ বুধবার তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনলাইনে এসব কথা বলেন।
ড. রাজ্জাক বলেন, আমনের জন্য অতি দ্রুত বিকল্প বীজতলা তৈরি করতে হবে। বীজ, সারসহ কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এসব বীজ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে দ্রুত নতুন বীজতলা তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া, রবি মৌসুমের জন্যও ব্যাপক আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। সেজন্য কর্মকর্তাদের অত্যন্ত তৎপর, সজাগ ও সক্রিয় থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বন্যায় ক্ষতি কমাতে এরমধ্যে কৃষির সব কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৮টি জেলার চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বীজ, সারসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কার্যক্রম বেগবান, তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য ১২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের ঈদের পরের দিন থেকেই বন্যা প্লাবিত এলাকার কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে অনলাইন মিটিং ও সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে মাঠের সব কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি ও মনিটরিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, কৃষির সব কর্মকর্তা-কর্মচারী মহামারি করোনার প্রকোপের শুরু থেকেই খাদ্য উৎপাদনের বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখা এবং তা আরো বাড়াতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও চলমান বন্যার কারণে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায়ও তাঁরা কৃষকের পাশে থেকে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, আমনের বীজতলা তৈরি করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই বীজতলা তৈরি করা হবে।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ ১৭টি সংস্থা/দপ্তরের মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপু। বিশেষজ্ঞ পুলের সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. এস. এম. নাজমুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।