সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: বৈরী আবহাওয়ায় সৃষ্টি হওয়া লঘু চাপের কারনে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আটকে গেল বহু পর্যটক। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে বিপদ সংকেত দেখা দেওয়ায় সেন্টমার্টিন হতে টেকনাফের উদ্দেশ্যে কোন ট্রলার ছাড়েনি।
অন্যদিকে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে করে কক্সবাজার থেকেই সরাসরি সেন্টমার্টিন আসা চার শতাধিক পর্যটক ও আটকা পড়েছে। পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে করে কক্সবাজার থেকেই সরাসরি সেন্টমার্টিনে পৌছেন পর্যটকরা।
আটকে পড়াদের মধ্যে ৩শ জনের ‘আমার বাজার’ নামে একটি দল তিন দিনের জন্য তারা দ্বীপে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পৌঁছেন গেল বুধবার।
আবহাওয়া অধিদফতর সুত্রে জানা যায়, মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের কারনে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরের মধ্যে কিছু এলাকায় ২ এবং কিছু এলাকায় ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
লঘুচাপটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর আহমেদ বলেন, বৈরী আবহাওয়ার আশংকা থাকায় বুধবার পুর্যটকদের সেন্টমার্টিন দ্বীপ হতে ফিরে যেতে মাইকিং করা হয়েছিল। অনেকে তা গুরুত্ব দেয়নি।
তারা আজকে ফিরে যাবার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফিরতে পারেননি। হঠাৎ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রওেয়ছে বলেও জানান তিনি। দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান।
সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর রাখতে দ্বীপের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাদের পাশে রয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি মেম্বার আবদুর রহমান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারনে সেন্টমার্টিন এ সকল নৌযান বন্ধ রয়েছে। ভ্রমণে আসা কয়েক শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে বলেও জানান। অবস্থানরত হোটেল মোটেল মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে আগত পর্যটকদের যাতে সমস্যা না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে সাগর উত্তাল ও বৈরী আবহাওয়ার কারনে সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকরা যাতে চলাচল ও খাওয়া দাওয়ায় হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটকদের নিরাপদে ফিরে আনা হবে।