বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় বিয়ের ৩৪ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূর নাহার (১৪) নামে কিশোরী নববধূর মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
রোববার নিহত নূর নাহারের বাবা নুরু মিয়া বাদী হয়ে বাসাইল থানায় মামলা করেন। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত স্বামী রাজিব খান ও শাশুড়ি বিলকিস বেগমকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদী মো. নুরু মিয়া বলেন, আমার মেয়ের স্বামী রাজিব খান ও তার মা বিলকিস বেগমের অবহেলায় নূর নাহারের মৃত্যু হয়েছে। আমি তাদের বিচার চাই।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নূর নাহারের বাবা সখীপুর উপজেলার নলুয়া কলাবাগান গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় রিকশাচালক। মা গার্মেন্টকর্মী। অভাবের সংসারে তার দিনমজুর নানা উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের কলিয়া গ্রামের বাসিন্দা লাল খান চার বছর বয়সে নূর নাহারকে নিজের বাড়ি নিয়ে আসেন। এরপর তাকে স্কুলে ভর্তি করান। নূর নাহার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
গত ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলার ফুলকি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ৩৪ বছর বয়সী ছেলে প্রবাস ফেরত রাজিব খানের সঙ্গে বিয়ে হয় নূর নাহারের। বিয়ের সময় নানা লাল খানের প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এই টাকার জোগান দেন তার আত্মীয়-স্বজনরা।
মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়নি। অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হওয়ায় শারীরিক সম্পর্কের পরই নূর নাহারের রক্তক্ষরণ শুরু হয়। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে নূর নাহার ও রাজিবের পরিবারে আলোচনা হয়।
পরে রাজিবের পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রাম্য কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এতেও ফল না পাওয়ায় গত ২২ অক্টোবর নূর নাহারকে ভর্তি করা হয় টাঙ্গাইলের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে।
এরপর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে তার মৃত্যু হয়।