সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিধিবহির্ভূত বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগ, আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে দুদকে তলব নাইজেরিয়ায় বিয়ের বাস নদীতে পড়ে প্রাণ গেল ১৯ জনের গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সিইও পদে ফারজানা চৌধুরীর পুনঃনিয়োগ বৈষম্যের শিকার খালেক মিয়া ইসলামী ইন্সুরেন্সে স্বপদে ফিরতে চান সাতক্ষীরার সীমান্ত দিয়ে চার শিশুসহ ১০ বাংলাদেশি হস্তান্তর ধূমপানের অতীত ইতিহাস… পাঁচ বছরেই দেশকে সোনার খনিতে রূপান্তর সম্ভব: বশিরউদ্দীন হোমল্যান্ড লাইফের অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করল উচ্চ আদালত নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বরিশালে DYDF-এর আয়োজনে “COP30 Road to Belém” আঞ্চলিক সংলাপ অনুষ্ঠিত
সুনীল অর্থনীতির সুফল ঘরে তুলতে চায় বাংলাদেশ

সুনীল অর্থনীতির সুফল ঘরে তুলতে চায় বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘সুনীল অর্থনীতি থেকে উদ্ভূত সম্ভাবনার পূর্ণ সুফল ঘরে তুলতে আমাদের প্রয়োজন সমুদ্রসম্পদ বিশেষ করে জাতীয় সমুদ্র সীমানার বাইরে এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ন্যায়সঙ্গত অংশীদারত্ব।’

আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ কর্তৃপক্ষ প্রণীত সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার খসড়া কর্ম-পরিকল্পনার ‌ওপর আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের ভার্চুয়াল সভায় দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বাস্তবায়ন এবং জাতিসংঘের সমুদ্র বিজ্ঞান দশককে এগিয়ে নিতে এই কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত রূপকল্প-২০৪১ এর প্রসঙ্গে টেনে ফাতিমা বলেন, দেশের সমুদ্রসম্পদের কার্যকর ব্যবহার ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বিনির্মাণে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে, যাতে রূপকল্প-২০৪১ এর অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার পর সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষসহ সব অংশীজনদের সঙ্গে গভীর সমুদ্র এলাকায় যৌথভাবে গবেষণা পরিচালনা করার বিষয়ে বাংলাদেশের গভীর আগ্রহের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

গভীর সমুদ্র তলদেশে গবেষণা এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষ গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগসমূহকে স্বাগত জানান ফাতিমা। তিনি গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ওপর জোর দেন। এগুলো হলো উন্নয়নশীল দেশসমূহে সক্ষমতা বিনির্মাণ ও কারিগরী ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করা; সবার অন্তর্ভুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রতিটি স্তরে বহু-অংশীজনভিত্তিক কৌশলগত অংশীদারত্ব নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত, সম্ভাব্য ও উদ্ভাবনী অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি সমুদ্র-পরিবেশ ও এর জীববৈচিত্র্য অক্ষুন্ন রাখা।

এছাড়া গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়েও গুরুত্ব প্রদান করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষ মহাসচিব মাইকেল ডাব্লিউ লজের সভাপতিত্বে সভায় অংশগ্রহণ করেন কোরিয়ার সমুদ্র ও মৎস্য সম্পদমন্ত্রী, নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারি এবং জাতিসংঘ সদস্য দেশসমূহের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com