রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নতুন নির্বাচন দিয়ে জয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে বলে আবারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মিয়ানমারের সেনা সরকার। মঙ্গলবার জান্তা সরকারের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিশ্রুতি দেন। বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দিলে সামরিক সরকারকে এর কঠিন মূল্য চুকাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ।
একদিকে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু হুমকি; অন্যদিকে রাজপেথ অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ। এটা নিত্যচিত্র মিয়ানমারে। রাস্তায় সাঁজোয়া যান ও সেনাদের উপস্থিতি থাকলেও ইয়াঙ্গুন ও দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহরের রেললাইন বন্ধ করে দেয় তারা। প্রায় ৩০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে প্রার্থনার মাধ্যমে।
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস হলে জান্তা সরকারকে তার জবাব দেয়া হবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সোমবার মিয়ানমারের সামরিক জান্তার উপ প্রধানকে ফোন করে সতর্ক করেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিশ্টিনা শরনার বার্গনার। সেনাবাহিনীকে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইন্টারনেট বন্ধ রাখা নিয়েও সতর্ক করেছেন তিনি।
এর আগে, বিক্ষোভকারীদের ২০ বছররে কারাদণ্ডের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জান্তা সরকার। এছাড়াও মঙ্গলবার সকালে আবারও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। যদিও তা পুনরায় চালু করা হয়।
জাতিসংঘের হুঁশিয়ারির পর প্রথমবাবের মতো সংবাদ সম্মেলন করল সেনা সরকার। প্রতিশ্রুতি দিলেন দেবেন নতুন নির্বাচন, জয়ী দলের কাছে হবে ক্ষমতা হস্তান্তর। তবে নির্দিষ্ট কোনও তারিখ ঘোষণা করে নি সেনা সরকার। আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হওয়া নিয়েও সাফাই দিয়েছেন সেনামুখপাত্র।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জো মিন তুন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে চাই না। অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ীদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। বিক্ষোভকারীরা শান্তির চেয়ে হিংস্র হয়ে উঠছে। তারা সহিংসতায় প্ররোচিত করছে এবং বেসামরিক কর্মচারীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে।’
অন্যদিকে, মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত ও আটক স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি’র বিরুদ্ধে দুর্যোগ আইন অমান্য করার দায়ে মঙ্গলবার দ্বিতীয় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। এর আগে, তার বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি নীতি লঙ্ঘন ও অবৈধ যোগাযোগ যন্ত্র রাখার দায়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়।