শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৯ অপরাহ্ন

সুইস ব্যাংকে কার কতো টাকা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২১৯

আদালত প্রতিবেদক: সুইস ব্যাংকসহ বিদেশি ব্যাংকে বাংলাদেশের অর্থ পাচারকারী কারা, তাদের কী পরিমাণ অর্থ রয়েছে সেসব তথ্যসহ অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকারের পদক্ষেপ কী তা জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে আলোচিত পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসা বাংলাদেশিদের বিষয়ে তদন্তের প্রশ্নে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। সুইস ব্যাংকে পাচারকৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ ফেরতের নির্দেশনা চেয়ে করা একটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

রুলে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিক কিংবা কোম্পানি বা অন্য কোনো সত্ত্বার গচ্ছিত অর্থ উদ্ধারে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যেসব বাংলাদেশি নাগরিক ও কোম্পানির নাম এসেছে তাদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন এক মাস পর পর আদালতকে অবহিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি কোনো নাগরিক কিংবা কোম্পানি বা অন্য কোনো সত্ত্বার অর্থপাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ, নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না রুলে সেটিও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। অর্থ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বারাষ্ট্র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাণিজ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, দুদক চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহসহ ১৩ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য রেখেছে হাইকোর্ট। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। গত ১ ফেব্রুয়ারি এ রিট আবেদনটি করেন এর পক্ষে শুনানি করা দুই আইনজীবী। অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘হাইকোর্টকে অবহিত করেছি যে, ‘সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার এবং তা ফেরত আনার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশের  ইমিগ্রেশন বিভাগ, বিএফআইইউসহ (বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স  ইউনিট) সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের কাছে তথ্য, উপাত্ত ও নাম পরিচয় চাওয়া হয়েছে। অর্থ ফেরতের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে বিএফআইইউ একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে।’ তিনি বলেন, ‘প্যারাডাইস পেপারসে উল্লেখযোগ্য  বাংলাদেশিদের মধ্যে আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও মুসা বিন শমসেরের নাম আসার বিষয়টি হাইকোর্টকে অবহিত করেছি। পানামা ও প্যারাডাইসে বাংলাদেশিদে  নাম আসার বিষয়টি দুদকের অনুসন্ধানে রয়েছে। হাইকোর্টকে আমরা আমাদের অবস্থানটি জানিয়েছি।’

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com