মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শালিশ বৈঠকে দু’ই গ্রামবাসীর মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নাঘিরপাড় ও বড়মগড়া গ্রামের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বড়মগড়া বাসষ্ট্যান্ডে শালিশ বৈঠকে দুই পক্ষের হামলা ও পাল্টা হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছে।
শালিশ বেঠক সূত্রে জানা গেছে, বড়মগড়া গ্রামের তমল পান্ডের সাথে নাঘিরপাড় গ্রামের রাসেল বক্তিয়ারের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায় নাঘিরপাড় ও বড়মগড়া গ্রামের দু’ই গ্রামবাসীর মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় উভয় পক্ষের তমল পান্ডে, অচিন্ত পান্ডে, মিলটন মন্ডল, সহিদ সরদার, রাসেল বক্তিয়ার, অলিউল্লাহ বক্তিয়ার, নয়ন মন্ডল, শহিদুল সরদার, লিয়ন সরদার, আশিক সরদার, তরু হাওলাদার, লাদেন বক্তিয়ার, জীবন রায়সহ ১৫ জন আহত হয়।
তমল পান্ডে জানান, সোমাইরপাড় গ্রামের পূর্বের একটি বিরোধ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে বড়মগড়া বাসষ্ট্যান্ডে শালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ওই বৈঠকে উপস্থিত নাঘিরপাড় গ্রামের কয়েক যুবক বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে হামলা-সংঘের্ষের সূত্রপাত ঘটে।
নাঘিরপাড় গ্রামের রাসেল বক্তিয়ার জানান, পূর্ব বিরোধ নিয়ে শালিস বৈঠক ডেকে পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর হামলা চালায় বড়মগড়া গ্রামের লোকজন।
হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের ১৩ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাফিজুর রহমান দিপু জানান, হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এব্যাপারে থানা পরিদর্শক মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, দুই পক্ষের হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনহত ব্যবস্থা নেয়া বলেও জানান তিনি।####