সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাঈদুর রহমান রিমনকে হারিয়ে আমরা নিঃস্ব জুলাই শুধু স্বৈরাচার-মুক্তির মাস নয়, এটি আমাদের পুনর্জন্মের মাস কুড়িগ্রামে ৬২ বছরের রোকেয়ার সঙ্গে ১৯ বছরের মিথুনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, অতঃপর মৃত্যু যানজটে নাকাল লালমনিরহাট জেলার শহরবাসী শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট, র‌্যাংকিংয়ে টানা উন্নতি লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইস্কাফ সিরাপ জব্দ রূপগঞ্জে ভেজাল ঔষধ বিক্রয়ের প্রতিবাদে জনসচেতনতামূলক সভা  দুম্বার ভিন্নধর্মী খামার এখন সাদুল্লাপুরে পঞ্চগড়ের নদীগুলোতে ক্ষতিকর গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ শিকার: হুমকির মুখে দেশী মাছের প্রজনন, জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশ জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া প্রকাশ
পাইলট নওশাদের মরদেহ দেশে আসছে কাল

পাইলট নওশাদের মরদেহ দেশে আসছে কাল

ভিশন বাংলা ডেস্ক: মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পরও দক্ষতার সঙ্গে ফ্লাইট নিরাপদে জরুরি অবতরণ করিয়ে যাত্রীদের প্রাণ বাঁচানো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে আগামীকাল। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় মরদেহ ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের হোটেল-মোটেলের অনলাইন বুকিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিয়েছিলেন।

এর আগে সোমবার (৩০ আগস্ট) ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ক্যাপ্টেন নওশাদ।

২৭ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ওমানের মাসকাট থেকে ঢাকায় ফেরার সময় মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন তিনি। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বিমানের সেকেন্ড পাইলট তাৎক্ষণিকভাবে নাগপুরে জরুরিভিত্তিতে বিমানটি অবতরণ করান। বিমানের সিডিউল ফ্লাইট ‘বিজি ০২২’ ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। ওই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন।

যাত্রীরা নিরাপদে ফিরে আসলেও নওশাদ চলে যান না ফেরার দেশে।

ক্যাপ্টেন নওশাদের দক্ষতা ও বীরত্বের কাহিনী এটিই প্রথম নয়। ৫ বছর আগেও নওশাদ তার বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে আরো ১৪৯ যাত্রী, দুই পাইলট আর ৭ ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন। বিমান সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে ছিলেন নওশাদ। সেই ফ্লাইটটি মাস্কাট বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করেছিল। টেক-অফ করার পর মাস্কাট বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেন নওশাদকে জানানো হয়, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত বিমান এয়ার ক্রাফটের হতে পারে।

যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নওশাদ বিমানটি চট্টগ্রাম অবতরণ না করে ঢাকা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। অবতরণের আগে ক্যাপ্টেন ফ্লাইটটি নিয়ে রানওয়ের উপরে ‍দুইবার লো-লেভেলে ফ্লাই করেন। তখন দেখা যায়, উড়োজাহাজের পেছনের দুই নম্বর টায়ারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে ক্যাপ্টেন নওশাদ দক্ষতার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত টায়ার ও ল্যান্ডিং গিয়ারসহই নিরাপদে ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করাতে সক্ষম হন।

এই ঘটনার পর ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠায়।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com