বেনাপোল থেকে রফিকুল ইসলাম যশোরের শার্শা উপজেলা জুড়ে চলছে চরম বিদ্যুৎ লোডশেডিং। দিনের বেলায় ২ঘন্টা নিয়মিত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। কোন কোন দিন তাও পাওয়া যাচ্ছে না। রাতের বেলা দিনের চেয়ে একটু ভাল.তবে থেমে থেমে বিদ্যুৎ আসে যায়। বর্ষা মৌসুমে এরকম লোডশেডিং এর আগে কখনও দেখা যায়নি। এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাট সাধারণত ইরি মৌসুমে দেখা যায়। কারণ তখন ইরি ধানে সেচ দিতে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। যার ফলে ইরি মৌসুমে লোডশেডিং একটা সাধারণ বিষয় ছিল। কিন্তু ভরা বর্ষা মৌসুমে এরকম লোডশেডিং আগে কখনও দেখা যায়নি। বর্ষা মৌসুমে যেমন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে. ফাকে ফাকে প্রক্ষর রোদ হচ্ছে.রোদের সাথে সাথে তাপও যেমন গরমও তেমন নাভিস্বাস হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক চলাচল।
এখানেই শেষ নয় বর্ষা মৌসুমে আকাশ মেঘলা হওয়া ও বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক.কিন্তু যেন তেন আকাশ মেঘলা হলে ও আকাশে বিদ্যুৎ চমকালেই বিদ্যুৎ চলে যায়।
গত ২দিন বিদ্যুৎ লোডশেডিং চরম আকার রুপ ধারন করেছে। ৬ই সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল থেকে এই সংবাদ লেখা (৩টা)পযর্ন্ত বিরামহীন ভাবে লোডশেডিং অব্যাহত ছিল। রাতের আরামের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসির। উপজেলার বন্দর নগরী বেনাপোলে কিছু সময় বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে.তাছাড়া উপজেলার সদর বড় বড় বাজার নাভারন.বাগআচড়া সহ প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে বিদ্যুতের দেখা মেলছে না সহসায়। প্রচণ্ড গরমে কোমলমতি শিশু ও শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। অসহনীয় গরমে শরীর ঘেমে ঠান্ডা জনীত রোগ সর্দ্দি.কাশী ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যুতের অভাবে গরমে পড়ার টেবিলে বষে পড়াশুনা করতে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ফলে সন্তানদের এহেন অবস্থা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েছে সচেতন অভিভাবক মহল। তারা বিদ্যুতের এ অসহনীয় লোডশেডিং থেকে মুক্তি চাই।