মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে, পাখির মতো মানুষ মরছে, মাছির মতো মানুষ মরছে। এই মর্মান্তিক দৃশ্যগুলো মানুষ হিসেবে আমি সইতে পারি না। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি, রাতে দিনে, বৃষ্টিতে-রোদে-শীতে রাস্তায় ঘুরেছি। কিন্তু কাঙ্খিত ফল পাইনি। কিন্তু সড়কের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তাই এবার সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে হবে। রাস্তাকে নিরাপদ করতে হবে। পরিবহনে ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত সড়ক ভবন অডিটরিয়ামে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত ‘গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মল্লিক ফখরুল ইসলাম, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলেনের চেয়ারম্যানঅভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে এত রাস্তা, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, সীমান্ত সড়ক, মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ হচ্ছে। তারপরও আমরা কেন সড়কে শৃঙ্খলা আনতে পারবো না।
এখন মূল সঙ্কট শৃঙ্খলার, পরিবহনে ও সড়কে। এখানে যদি আমরা ব্যর্থ হই তবে আমাদের সব উন্নয়ন ব্যর্থ হয়ে যাবে। কাজেই সড়কে শৃঙ্খলা আনাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বছরে একদিন (২২ অক্টোবর) সুন্দর সুন্দর ব্যানার পোষ্টার ও প্ল্যাকার্ড করলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হবে না। নিরাপদ সড়ক একদিন নয়, প্রতিদিন করতে হবে নিরাপদ সড়ক।
তিনি বলেন, বিআরটিএ‘র ড্রাইভিং লাইসেন্স দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে। হাজার হাজার আবেদন, লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয়েছে। আমি বলবো ছুটির দিনে কাজ করে হলেও আটকে থাকা লাইসেন্সগুলো দিয়ে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এখানে যারা অপকর্ম ও দুর্নীতি করে তাদেরকে নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যারা সেখানে যাওয়ার জন্য তদবির করে তারা তো কোনো কিছুর বিনিময়ে তদবির করেন। কারণ সেখানে কিছু লেনদেন আছে। যারা এসব তদবির করে তাকে দায়ি না করে যার জন্য তদবির করে আমি তাকে দায়ি করবো। সুতরাং এগুলো বন্ধ করতে হবে। আমি যতদিন এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি ততদিন কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি মেনে নেব না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কখনও দুই পরিবহনের সংঘর্ষে, কখনও তিন চাকার গাড়ি ইজি বাইক, নসিমন-করিমন দুর্ঘটনায় লোকজন প্রাণ হারায়। এর জন্য আমরা ২২ সড়কে এগুলো নিষিদ্ধ করেছি। কিন্তু অনেক জায়গায় এই নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না। আর ইদানিং নতুন উপদ্রব হচ্ছে মোটরসাইকেল।
মন্ত্রী বলেন, মাঝে মাঝে দেখা যায়, অনেকে নিয়ম মানছে না। তারা রাজনৈতিক কর্মী ও তরুণ-তুর্কি। কিছু রাজনৈতিক কর্মী আছে, তারা একসঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে মোটরসাইকেল চালায়। তিনজন করে বসে, মাথায় হেলমেট নেই। বোঝা যায় তারা দাপট দেখাচ্ছে।