সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী দুলাল চকদারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধা তারামৃধার (সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা ইকরাম উদ্দিন তারামৃধা সহ সকলের দাবি দুলাল চকদার বিএনপি করে। তাকে বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগের যে কোন নেতাকর্মীকে গোবিন্দাসী ইউপি নির্বাচনের জন্য নৌকা প্রতীক দিলে আমাদের কোন আফসোস থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের আকুল আবেদন তিনি হাইব্রিট এবং বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরকারী দুলাল চকদারকে যেন বহিস্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন।) স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক সম্মেলনে তারামৃধা সহ অনেক নেতৃবৃন্দের বক্তব্য। প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আস্সালামু আলাইকুম। আমার মুজিবীয় সালাম ও সংগ্রামী শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকরাম উদ্দিন তারা মৃধা-সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটি ও সাবেক সফল নির্বাচিত চেয়ারম্যান (২০০৩-২০১১) গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদ ভূয়াপুর টাঙ্গাইল। পাশাপাশি আমি বর্তামানে গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের জানাতে চাই বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে হাইব্রিট অনুপ্রবেশকারীরা শিকড় গেড়ে বসেছে। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি আজ তারা অবহেলিত এবং লাঞ্চিত হচ্ছি এসব অনুপ্রবেশকারী স্বাধীনতা বিরোধীদের দ্বারা। আমি বর্তমানে আমার নিজ ইউনিয়ন গোবিন্দাসী ভূয়াপুর উপজেলা টাঙ্গাইল থেকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার একজন মনোয়ন প্রত্যাশী। নির্বাচনীয় সিডিউল ঘোষণার পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগে আমার নামসহ আমার সাথে যারা আওয়ামীলীগ থেকে প্রার্থী হয়েছে, আওয়ামীলীগ নেতা আমিন ও আরজু। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের কোন আওয়ামীলীগ নেতাদের নাম না রেখে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী বিএনপির সার্টিফিকেটদারী নেতা দুলাল চকদারের নাম ভূয়াপুর এবং টাঙ্গাইলের কিছু অসাধু আওয়ামীলীগ নেতারা অবৈধভাবে দুলাল চকদারের নিকট টাকা খেয়ে তার নাম আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে পাঠিয়েছে। কে এই দুলাল চকদার। সে প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরকারীর ১নং আসামী, ভূয়াপুর থানার মামলা নং-৩, তারিখ ০২/০৯/২০১২ইং। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার অন্যতম সহযোগী খুনী আব্দুস সালাম পিন্টুর সহচর বিএনপি নেতা দুলাল চকদার। তার বিরুদ্ধ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা মকদ্দমা করে হয়রানি করেছে এমন অভিযোগের অভাব নেই। কোন সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে সত্য কথা লিখলে দুলাল চকদার মিথ্যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে হয়রানি করে। সিরাজগঞ্জের চাঞ্চল্যকর নাসির হত্যা মামলার আসামী দুলাল হোসেন চকদার। মামলা নং-৫, তারিখ ০২/০৯/২০১২ইং। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মো. মনির উদ্দিন আকন সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন শাখা ভূয়াপুর টাঙ্গাইল। এই মর্মে তাহাদের রাজনৈতিক প্যাডে প্রত্যয়ন পত্র করেছিল। মো. দুলাল হোসেন চকদার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগদানপূর্বক দলের আদর্শের প্রতি আনুগত্য থেকে দলীয় সকল কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করিতেছে। তার অংশ গ্রহণ সকল কার্যক্রম অত্যন্ত সন্তোস জনক। পারিবারিকভাবে তারা সকলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র স্থানীয় গোবিন্দাসী ইউনিয়ন শাখার কর্মী। একইভাবে ১৪/১২/২০১৫ইং মো. সেলিমুজ্জামান সাধারণ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ভূয়াপুর উপজেলা শাখা থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র দুলাল চকদারকে দেয়। এযাবতকালে গোবিন্দাসীর আমিন চেয়ারম্যানের বালুরঘাট সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের বালুরঘাট এবং জনৈক আসাদ মেম্বারের বালুরঘাট সহ একাধিক বালুরঘাট দখল করে হাইব্রিট দুলাল চকদার এখন সাতটি বালুরঘাটের মালিক। এসব বালুরঘাটে দুলালা চকদার বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়োগ দিয়ে রেখেছে। দুলালা চকদার সহ এসব ক্যডাররা বিভিন্ন ডাকাত দলের সদস্য। দুলালা চকদারের কাজকর্মে আমাদের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ভয়নকভাবে বিতর্কিত হচ্ছে। কারণ দুলালা চকদার আওয়ামীলীগের হাইব্রিট মর্মে ইতিমধ্যে দৈনিক প্রথম আলো, বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং যুগান্তর পত্রিকা সহ প্রায় বিশ থেকে পঁচিশটি গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের দাবী বিএনপি নেতা দুলালা হোসেন চকদারকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার করে তার বিরুদ্ধে সুস্থ তদন্তের ব্যবস্থা করলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল। গোবিন্দাসী ইউনিয়ন সহ বৃহত্তর ভুয়াপুর ও টাঙ্গাইল জেলার সর্বস্তরের আওয়ামীলীগের মাঝে ফিরে আসবে স্বস্তি। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূল থেকে সঠিকতা যাচাই না করে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্য ও শতভাগ মুজিব আদর্শের নেতৃবৃন্দের নাম প্রার্থী হিসেবে না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে অনুপ্রবেশকারী, জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরকারীর নাম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে পাঠিয়ে বৃহত্তর টাঙ্গাইল সহ বাংলাদেশের মুল ধারার আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর কর্মীদের বিশ্বাসের স্থানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে। এঘটনা জানতে পেরে আমার ইউনিয় ছাত্রলীগ, ভুয়াপুর উপজেলা যুবলীগ সহ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ বরাবর আমাকে কিংবা আমার মতো আওয়ামীলীগের জন্য নিবেদীত কোন কর্মীকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপারিশ আকারে পাঠিয়েছে। অতএব সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আপনাদের নিকট আকুল আবেদন, সম্পূর্ণ বিষয়টি একটি সুন্দর সংবাদের মাধ্যমে আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী যার পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে অস্ত্র হাতে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি তিনি যেন বিষয়টির উপর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আওয়ামীলীগের পক্ষের কেউ নৌকা প্রতীক পাবে এমনটাই প্রত্যাশা আমার। সকল হাইব্রিট অনুপ্রেবেশকারীরা নিপাত যাক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ হোক পরিশুদ্ধ। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু