রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত যুব গেমস প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুপ্ত প্রতিভাকে উদ্ভাসিত এবং খেলাধুলার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ যুব গেমস-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেছেন, “এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ যেমন মোকাবেলা করব। তেমনি মাদকাসক্তি থেকে আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করব।
“আমি আশাকরি, দেশব্যাপী আয়োজিত এই গেমসের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুপ্ত প্রতিভা উদ্ভাসিত হবে এবং খেলাধুলার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে।”
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা ‘বাংলাদেশ যুব গেমস ২০১৮’ উদ্বোধন করেন।
‘মুখে হাসি বুকে বল, তেজে ভরা মন, মানুষ হইতে হবে মানুষ যখন’ বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতার এই লাইন উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা যুব সমাজের উদ্দেশে বলেন, “সব সময় নিজের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। বুকে সাহস রাখতে হবে।”
“প্রতিযোগিতায় আমরা টিকে থাকতে চাই। এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশও পারে, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হতে।”
প্রথমবারের মতো যুব গেমসের আয়োজন করায় বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
জীবন গঠনে খেলাধুলার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “খেলাধুলা একটা মানুষের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে। সুস্থ-সবল দেহ-মন এবং দেশ ও জাতির প্রতি ভালবাসা তৈরিতে খেলাধুলা একান্তভাবে প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “খেলাধুলা শৃঙ্খলাবোধ ও অধ্যবসায় শেখায়, দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন ও কর্তব্যপরায়ণতা করে এবং সহনশীলতার শিক্ষা দেয়।”
লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “আমরা সব সময় বিশ্বাস করি শুধু লেখাপড়া না, লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলা আর সাংস্কৃতিক চর্চা; এটা একান্তভাবে অপরিহার্য।”
খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তোলার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিবছর দেশব্যাপী ছাত্রদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ও ছাত্রীদের জন্য ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ আয়োজনের কথাও মনে করিয়ে দেন শেখ হাসিনা।
“এতে ধীরে ধীরে ভাল খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে; যা জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতাকে আরো উন্নত করবে।”
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন যুব গেমসের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। পরে প্রধানমন্ত্রী একটি সাদা বলে হাত রেখে এই গেমসের উদ্বোধন করেন।