মঙ্গলবার, ২২ Jul ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিমানটি ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নিতে চেয়েছিলেন পাইলট প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে বিল নিয়ে অনুসন্ধানে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলার চেষ্টা, কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে তোলপাড় উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত অন্তত ১৯, আহত অর্ধশতের বেশি— ফায়ার সার্ভিসের ডিজি সুমন-সোলাইমান-রনির নেতৃত্বে কদমতলী থানা সাংবাদিক ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত, জাতিসংঘের খাদ্যবহরেও হামলা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিত করতে হবে: আদিলুর রহমান খান শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপি’র নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবী ‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ খরিপের পর রবি সবজিতে স্বপ্ন দেখছেন লালমনিরহাটের চাষিরা মাদকের অভয়ারণ্য লালমনিরহাট
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:  কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ১৬ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। জেলা শহরের ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে আটটি দানবাক্স রয়েছে।

 

প্রতি তিন মাস পর পর ওই বাক্সগুলো খোলা হয়। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এ মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয় চার মাস পর পর। আর এবার খোলা হয়েছে ৩ মাস ২০ দিন পর।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে শনিবার (২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

 

প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চলে টাকা গণনার কাজ। এই কাজে মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নেয়।

 

গণনা শেষে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে ১৬ বস্তায় ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গেছে।

 

এর আগে, দানবাক্সগুলো খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করেন উৎসুক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে।

 

মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, ১৬ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনা। গণনার শেষে কি পরিমাণ টাকা, সোনা, রুপা বা বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে তা বলা যাবে।

 

এর আগে সর্বশেষ গত ১২ মার্চ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৪ মাস ৬ দিনে এই দানবাক্সগুলো জমা পড়েছিল ১৫ বস্তা টাকা। সেই বস্তাগুলো মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে দিনভর গণনা শেষে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা। এ ছাড়া জমা পড়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।

 

টাকা ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।

 

মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, করোনা সংক্রমণের শুরুতে মসজিদে মুসল্লিদের চলাচল এবং নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকলেও দান অব্যাহত ছিল।

 

তিনি আরও জানান, পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়।

 

তা ছাড়া সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদেরও এই দানের টাকা থেকে সহায়তা করা হয়েছে।

 

মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করছে এই মসজিদে। যারা দান করতে আসেন তারা বলে থাকেন, এখানে দান করার পরে নাকি তাদের আশা পূরণ হয়েছে। আর এ বিষয়টির কারণেই এখানে দান করে থাকেন তারা।

 

কিশোরগঞ্জের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দার তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে অবস্থিত পাগলা মসজিদ।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com