রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের ওসমানী নগরে একটি বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় একই পরিবারের ৫ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের হাসপাতালে নেয়ার পর বাবা-ছেলে মারা যান। বাকি তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
তাজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলচন্ডী সড়কের একটি বাসা থেকে মঙ্গলবার দুপুরে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার ছেলে মাহিকুল ইসলাম (১৬)। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন নিহত রফিকুলের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) ও মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০)।
জানা গেছে, রফিকুল ইসলামের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। অসুস্থ ছেলে সাদিকুলের চিকিৎসার জন্য তারা গত ১২ জুলাই দেশে ফিরে এক সপ্তাহ ঢাকায় ছিলেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে গত ১৮ জুলাই সিলেটে এসে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর মঙ্গলচণ্ডী বাজার রোডের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে ওঠেন। গতকাল সোমবার রাতের খাবার শেষে রফিকুলের পরিবারের সদস্যরা ঘরের একটি কক্ষে ঘুমাতে যান। অপর আরেকটি কক্ষে রফিকুলের শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী ও মেয়ে ঘুমাতে যান।
আজ সকালে অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরেও রফিকুলের কক্ষের কেউ সাড়া না দেওয়ায় অন্য কক্ষে থাকা স্বজনরা ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ এসে কক্ষের দরজা ভেঙে রফিকুলের পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ও তার ছেলে মাহিকুলকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দুটি টিম।
এ ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলামের শ্বশুর আনফর আলী, শাশুড়ি বদরুন্নেছা, শ্যালক দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী শোভা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।