শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্ক ও সিরিয়ায় সংঘটিত ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২১ হাজার ৫১ জন। খবর আল জাজিরার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবর, তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকারি সূত্র ও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ১৭ হাজার ৬৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৭৭ জন।
ভূমিকম্পের পর তুরস্কে উদ্ধার তৎপরতায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। ধীরগতির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা পৌঁছায়নি বলেও অভিযোগ তাদের। তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলছেন, এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনো পূর্বপ্রস্তুতিই যথেষ্ট নয়।
স্মরণকালের ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে লাখো মানুষের জীবন। সময় যত গড়াচ্ছে ততোই বাড়ছে অনিশ্চয়তা। সর্বস্ব হারিয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন অনেকে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর তুষারপাত। তীব্র শীত উপেক্ষা করেই চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপের ভেতর প্রাণের সন্ধানে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
ভূমিকম্পে তছনছ তুরস্কের গাজিয়ানতেপসহ আশপাশের এলাকা। ভূমিকম্পে বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ধসে পড়েছে বহু মহাসড়ক। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার কারণে তুরস্কের হাতায় ও সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের দুর্গম এলাকায় পৌছাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করতে না পারায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
যোগাযোগ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্গত এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না ত্রাণ সহায়তাও। বাড়িঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে চরম মানবেতর দিন পার করছেন এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা।
তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়ার আলেপ্পো শহরেও একই অবস্থা। বিভিন্ন মহাসড়ক ধসে পড়ায় চলতে পারছে না কোনো যানবাহন। যুদ্ধকবলিত দেশটিতে ভূমিকম্প যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছায় দেখা দিয়েছে মানবাবিক সংকট।