সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০১৮ সালে প্রণীত বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের স্থলে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। নতুন আইনটি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাস হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে আইনটি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আইনমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল নয়, কিছু ধারা ও সাজা এবং নামে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে সংসদ অধিবেশ বসবে। সেখানে এটি উপস্থাপন করা হবে। তখন এটি পাস হবে।
আইন পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করে আনিসুল হক বলেন, আমরা আলোচনা করে দেখেছি জনগণের এবং যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সেটা ভালোভাবে করা যাবে, সে কারণে এই আইনের পরিবর্তন করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই আইনটি পরিবর্তনের ফলে সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ হবে।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল হয়নি, এটি সংশোধন করা হয়েছে। আগে অনেক ধারা জামিন অযোগ্য ছিল, সেগুলো এখন জামিনযোগ্য করা হয়েছে। মানহানির মামলায় কারাদণ্ডের পরিবর্তন জরিমানা রাখা হয়েছে।
২০১৮ সালে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে। বিশেষ করে এর ৫৭ ধারা দেশে-বিদেশে সমালোচিত হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার সমুন্নত রাখা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬-সহ মোট পাঁচচটি ধারা বিলুপ্ত করে জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পাস হয়। আইনটি কার্যকরের পর থেকে সাংবাদিকদের ওপর এর অপপ্রয়োগের অভিযোগ ওঠে। সাংবাদিক নেতারা বরাবরই আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন। এই দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন তারা।