রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্কঃ খাতা মূল্যায়নের খরচ নিয়ে এতদিন নির্দিষ্ট কোনো আলোচনায় না পৌঁছানোর কারণে আটকে ছিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা। তবে খাতা মূল্যায়নের খরচ মিটে যাওয়ায় অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। আর এজন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গত রোববার সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মৌখিক সম্মতি পাওয়া গেছে। এখন অনুমোদনের চিঠি হাতে পাওয়ার এক মাসের মধ্যে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে।’চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য এবং তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষাও ধাপে ধাপে নেওয়া হবে।তিন ধাপে মোট সাড়ে ১১ লাখ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এই নিয়োগের জন্য দেশের আট বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত শূন্য পদ ৭ হাজার ৪৬৩টি।এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে এই পরীক্ষা হতে পারে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সাড়ে ১১ লাখ প্রার্থীর নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ফল ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা অধিদপ্তরের নেই। এ কারণে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ফল ব্যবস্থাপনায় গ্রহণযোগ্যতা থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) এই কাজে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য বুয়েটকে অর্থ দিতে হবে। এই ব্যয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। এই অনুমোদন না দেওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজনও আটকে ছিল। বুয়েট গত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়ও এভাবে যুক্ত ছিল।উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। দুই বছরের বেশি সময় পর সেই নিয়োগ শেষ হয় গত জানুয়ারিতে। এতে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। তবে এর মধ্যে ২ হাজার ৫৫৭ জন চাকরিতে যোগ দেননি। ফলে এই পদগুলো শূন্য থেকে যায়।