শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্কঃ আবারও দুদিন ধরে অস্থির ডিমের বাজার। বাড়ছে দাম, পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে প্রায় সব রকম সবজির দামও। খুচরা বাজারে আবারও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। আলুর বাজারে মানা হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত মূল্য। বরাবরের মতোই সরবরাহ ঘাটতির অজুহাত ব্যবসায়ীদের।আমদানি অনুমতিতে কিছুটা লাগাম পড়লেও রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে, ১৫৫ টাকায়। মহল্লার বাজারে গুনতে হচ্ছে ১৭০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না হওয়ায় বাড়তি ডিমের দাম।ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ১২ টাকা অথচ বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারে পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় ডিমের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চাহিদা অনুযায়ী কোনো কিছুই কিনতে পারছেন না তারা। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও মানছে না ব্যবসায়ীরা। আর এর জন্যই নাকি নাম খারাপ হচ্ছে সরকারের।এদিকে গত কয়েক মাস ধরে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে কারসাজি করছে। সম্প্রতি সেই চক্র অতি মুনাফা করতে পেঁয়াজ কেজি ১০০ টাকার উপরে বিক্রি করে। ফলে মূল্য নিয়ন্ত্রণে ৫ জুন কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকায় নেমে আসে। এছাড়া মূল্য আরও ভোক্তা সহনীয় করতে ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু বাজারে সরকার নির্ধারিত দাম মানা হচ্ছে না। গত এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা বিক্রি হলেও বুধবার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকার শুধু পণ্যের দাম নির্ধারণ করলেই হবে না। মূল্য কার্যকরে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা বলছি না যে সরকার বাজার তদারকি কাজ করছে না। বলতে চাচ্ছি সংস্থাগুলো যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। কোনো না কোনো ফাঁক আছে। চাইলে সব সমাধান করা যায়। কিন্তু তা হচ্ছে না।অন্যদিকে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়তি সব রকমের সবজির দামও। করলা, ঢেঁড়স, পটলের দাম কেজি প্রতি ৮০ টাকা। টমেটো, গাজর, বেগুন ১০০ টাকার ওপরে। আর কাঁচা মরিচ ঠেকেছে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত। দাম বেঁধে দেয়ার এক মাসেও কমেনি পেঁয়াজ ও আলুর দর। উল্টো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে দেশি পেঁয়াজ।ক্রেতাদের সঙ্গে খুচরা ব্যবসায়ীরাও অভিযোগ করে বলেন, অস্থির বাজারের জন্য দায়ী ব্যবসায়ীরা না, বরং দায়ী পাইকার ও আড়তদার। তাদের দাবি আমদানি কম থাকায় ক্রয়কৃত দামেই বিক্রি করতে হয় তাদের পণ্য। বিশেষ করে পাবনা পেঁয়াজ বাজারে আমদানি নেই বললেই চলে। ডিম-সবজির পাশাপাশি বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে দেশি ও সোনালী মুরগি। আর বাজার ভেদে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছুঁয়েছে ২০০ টাকার ঘরে।