রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ!
জাতির পিতার হাত ধরে বাংলাদেশের বিচারকাঠামো গঠিত : প্রধানমন্ত্রী

জাতির পিতার হাত ধরে বাংলাদেশের বিচারকাঠামো গঠিত : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্কঃ জাতির পিতার হাত ধরে বাংলাদেশের বিচারকাঠামো গঠিত হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য সবকিছু তিনি করে গেছেন। সমুদ্রসীমা বাড়ানোর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও তিনি শুরু করেছেন। যা আমরা শুরু করেছি।আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবীদের মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, আমি অবাক হয়ে যাই যে একজন মানুষ কীভাবে এক জীবনে এতগুলো কাজ করতে পারেন।শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু ইনডেমনিটি অধ্যাদেশই নয়, নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট করা, হ্যাঁ-না ভোট, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, যেটা সামরিক আইন ও বিধান ভঙ্গ করে নিজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।তিনি বলেন, যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা, যে স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি, সেই স্বাধীনতার স্বপ্ন আমরাই বাস্তবায়ন করেছি।আইনজীবীদের ভবন, স্বল্পমূল্যে জমি বরাদ্দসহ নানা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্থিক স্বচ্ছলতা আসলে আস্তে আস্তে করে দেব। তবে একটা শর্ত আছে, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত, সেই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। এটাই আমার অনুরোধ এবং দাবি।তিনি বলেন, এই বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের কত নেতা হত্যা করেছে। ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করে আরও ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করেছে। এই অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত, সেই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে, এটাই আমার অনুরোধ। তাদের শাস্তি কেন দেরি হবে? আগে আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিল, এখন আন্দোলনের সুযোগে সামনে এসেছে। তাদের মামলায় যেন তারা সাজা পায়। এটা আপনাদের কাছে আমার দাবি।শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি একটি দাবি আছে, আইনজীবী ভবন করে দেওয়ার। আর্থিকভাবে যত স্বচ্ছলতা আসবে, ধীরে ধীরে সব জেলায় এটা করে দিতে পারবো। তবে এখানে একটা শর্ত আছে, সেখানে আইনজীবীদের পক্ষ থেকেও ফান্ড থাকতে হবে। আপনারা একটা ফান্ড গঠন করেন। সেখান থেকে কিছু দেন, আমিও কিছু দেব।সরকারপ্রধান বলেন, ২০০১ সালে বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে। তারা দেশের অর্থ পাচার করেছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের দেশ বানিয়েছে। সারাদেশে বোমা হামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে। বেঁচে গেছি, এটা ঠিক। কিন্তু তার দেশে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য করেছে।তিনি বলেন, খুনিদের জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসিয়েছেন। সে সময় আমি দেশে ফিরে আসি। দেখি, ক্ষমতাসীনরা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে কিছু লোকের ভাগ্য উন্নয়ন করেছে, কিন্তু জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। আমি গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়াই। মানুষের কষ্ট দুর্দশা দেখি। পরে ২১ বছর পর আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করি। বিচার বিভাগের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেই।শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করে জিয়াউর রহমানের সহায়তায় মোস্তাক ক্ষমতা দখল করে, টিকতে পারেনি। আসল চেহারা নিয়ে বেরিয়ে আসেন জিয়া। ক্ষমতা দখল করেন। ইনডেমনিটি জারি করে আমাদের বিচার থেকে বঞ্চিত করেন। নির্বাচন পক্রিয়া ধ্বংস করেন। নিজেই দল গঠন করে কারচুপি করে ২-৩ শতাংশ মেজরিটি দিয়ে সংবিধান ক্ষত-বিক্ষত করেন।তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজও বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন। তার জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করে দিয়ে যান। বিচার কাজে নারীদের যাওয়ার পথ সুগম করেন জাতির পিতা। তার হাত ধরে আমরা সেটা আরও সহজ করে দিয়েছি।মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আরও বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এ এম আমিন উদ্দিন, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু ও আইন সচিব গোলাম সরওয়ার।সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধুর আইনি দর্শন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com