বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
চুন্নু ও কাজী আলাউদ্দীনের পাঠানো প্রতিবেদন:
এলাকাভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষে প্রত্যেক থানায় সিটিজেন ফোরাম গঠন করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মিরপুরের শাহ আলী থানা এলাকার ৮ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মোঃ ইসরাইল হাওলাদার। তিনি বলেন, “পুলিশ রাষ্ট্রের জন্য, জনগণের জন্য, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “পুলিশের যে কাজ তা আইন দ্বারা নির্ধারিত। আইনের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আইনের মধ্যে থেকে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। বিশেষ করে কোন দাঙ্গা হলে তাতে কোন কোন ধাপ অনুসরণ করতে হবে তা আইনে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে।
এক্ষেত্রে প্রথমে সমবেত জনতার সাথে আলোচনার কথা অনুসরণ করার কথা বলা আছে, যদি সেটি কাজ না করে তাহলে ধাপে ধাপে অন্যান্য পদক্ষেপের কথা বলা আছে। এর সর্বশেষ ধাপ হল নিজের জীবন ও সম্পদ বা অন্যের জীবন ও সম্পদ আক্রান্ত হলে আত্নরক্ষার উদ্দেশে পুরো মাত্রায় প্রতিরোধে যাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ সর্বশেষ ধাপটি সবচেয়ে জটিল পরিস্থিতির ক্ষেত্রে অবলম্বন করতে হবে। তাই পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশকে আইনে নির্দেশিত ধাপসমূহ অনুসরণ করতে হবে যাতে যেকোন সমস্যা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা যায় এবং বিশৃঙ্খলা এড়ানো যায়।
তিনি আরো বলেন, দেশ পরিচালনা করা রাজনীতিবিদগণের কাজ। আর প্রশাসনের কাজ হল আইনের মধ্য থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কল্যাণমূলক রাষ্টনীতিগুলো বাস্তবায়ন করা। রাজধানীর সবগুলো থানায় এধরনের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো কমিউনিটি এনগেজমেন্ট। আপনারা কি চান, আপনাদের কি সমস্যা এবং এ সংক্রান্ত আপনাদের পরামর্শ কি- এর ভিত্তিতে আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে চাই।”
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও শাহ আলী থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান, বিপিএম এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- সাহিন দরপন (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), সোলায়মান দেওয়ান, যুগ্ম আহবায়ক, শাহ আলী থানা বিএনপি, ডা: আনিসুর রহমান মিল্টন (সাবেক কাউন্সিলর শহীদ নিউটন এর ভাই), মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, সাবেক সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর), আব্দুল কাদের, সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক, মো: সাইফুল হক, সদস্য, আহবায়ক কমিটি, শাহ আলী থানা, হারুন অর রশিদ ডালিম, সদস্য, শাহ আলী থানা, বিএনপি, মো: আবু রাহিদ রাহাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি, ৮ নং ওয়ার্ড, বিএনপি, মো: মুশফিকুর রহমান, সদস্য সচিব, জাসাস, শাহ আলী থানা, মো: কাজী লিটন, যুগ্ম আহবায়ক, শাহ আলী থানা বিএনপি, সামসুল কবির, যুগ্ম আহবায়ক, শাহ আলী থানা বিএনপি, শাহ মোস্তাফিজুর রহামন (বাবুল), যুগ্ম আহবায়ক, শাহ আলী থানা বিএনপি, আফসার আলম খান সেলিম, সভাপতি, ৯৩ নং ওয়ার্ড, শাহ আলী থানা বিএনপিসহ আরো অনেকে।