বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রাজস্ব বাড়লেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি টাঙ্গাইল মির্জাপুরের পশুর হাট ও বাজারের বিজয়ে দিবসে সিরাজগঞ্জে জিসাস-এর দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন হাইকোর্টের রায়ে ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিজয় দিবসের রাতেই জাতীয় পতাকা অবমাননা! বাগমারায় আউচপাড়া ইউনিয়নে মহান বিজয় দিবস পালিত বিজয় দিবস উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধীতে জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির পুস্পস্তবক অর্পণ সরাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন ও মুক্তিযুদ্ধাদের সংবর্ধনা পাটগ্রামে রক্ত কনিকা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২৬- এর শুরুতে জাতীয় নির্বাচন: ড. ইউনূস আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস
রাজস্ব বাড়লেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি টাঙ্গাইল মির্জাপুরের পশুর হাট ও বাজারের

রাজস্ব বাড়লেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি টাঙ্গাইল মির্জাপুরের পশুর হাট ও বাজারের

মোঃরুবেল মিয়া, উপজেলা প্রতিনিধি( মির্জাপুর) টাঙ্গাইল:

টাঙ্গাইল মির্জাপুরে দেওহাটা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতিটি রাস্তা কাঁদা-পানিতে সয়লাব এবং পশুর হাটে জলাবদ্ধতা হয়ে চলাচলের অনুপযোগী।

ভুক্তভোগী ১৫-২০ জন ব্যবসায়ী এবং হাট ও বাজারে আসা অন্তত ২০ জন এলাকাবাসী জানান, মির্জাপুর পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে শত বছরের পুরনো দেওহাটা পশুর হাট ও বাজারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাট ও বাজারটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় প্রতি দিন হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম হয়। এখানে প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বিশাল একটি পশুর হাট বসে। বাজার বসে নিয়মিত প্রতি দিন। একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে গরুর হাট ডুবে যায়। গরুর হাটে টাঙ্গাইল, ভুয়াপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুর, কুষ্টিয়া, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ এবং ঢাকা জেলার বেপারিরা গরুর জন্য আসে। এছাড়া বসে নিয়মিত কাঠের হাট।

পৌরসভা এবং উপজেলার গোড়াই, বহুরিয়া, লতিফপুর, তরফপুর, আজগানা এবং ভাওড়া ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন। হাটের পাশেই রয়েছে পৌরসভা ও গোড়াই ইউনিয়ন দুটি ভূমি অফিস,১০ নম্বর গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদ, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি পুলিশ ফাঁড়ি, বেশ কয়েকটি মসজিদ-মাদ্রাসা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। প্রতি বছর সরকার এই হাট থেকে ৬০-৭০ লাখ টাকা ইজারা দিয়ে রাজস্ব পেয়ে আসছেন। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়লেও গুরুত্বপূর্ণ এই হাটের রাস্তা-ঘাটের কোন উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি। একটু বৃষ্টি হলে কাঁদা-পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চলাচল অনুপযোগী থাকে। আবার স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বিভিন্ন রাস্তার পাশ দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।

এ ব্যাপারে দেওহাটা ১০ নং গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, প্রতি বছর এই হাটের সরকারি রাজস্ব আয় বাড়ানো হয়। চলতি বছরও এই হাট থেকে ৬০থেকে ৭০ লাখ টাকার রাজস্ব নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। হাটের উন্নয়ন বলতেই কিছুই হচ্ছে না। রাস্তায় কাঁদা পানি জমে করুন দশা। রাস্তার উন্নয়ন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা, সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে চলাই দুষ্কর। একটু বৃষ্টি হলেই গরুর হাট পানিতে তলিয়ে যায়। চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগের শেষ নেই।আমাদের এই হাটে ৩ থেকে ৪ উন্নয়ন বেশী দরকার,

১.হাটের এদিকে বাউন্ডারি করে প্রাচীর তৈরি করে দেওয়া হাটের নিরাপত্তার জন্য।

২.মাটি ফেলে হাট উঁচু করে দেওয়া যাতে বর্ষা হলে হাট না পানিতে ডুবে না যায়।

৩.হাটে বেপারীদের জন্য শেফ তৈরি করে দেওয়া। যাতে বৃষ্টি হলে বেপারীদের কোন সমস্যা না হয়।

৪.হাটে চারিদিকে সিসি ক্যামেরা লাগানো দরকার বেপারী ও ক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য।

একই অভিযোগ করেছেন হাট কমিটির ক্যাশিয়ার শামীম মিয়া, দেওহাটা হাটের রাস্তা-ঘাট এবং গরুর হাট দ্রুত উন্নয়নের জন্য এলাকাবাসী ও হাটের ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, দেওহাটা হাট ও বাজারটি পুরনো এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই হাট থেকে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পেয়ে আসছে। হাটের রাস্তা-ঘাটের খুবই দুরবস্থা। রাস্তা থেকে হাটটি নিচু। মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘ দিন সংস্কার কাজ না হওয়ায় রাস্তা দিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরেছে। হাট ও রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের জন্য প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com