নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় হৃদয়বিদারক এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে একটি নিষ্পাপ কিশোরীর আত্মহনন। বাবার আচরণে প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে, অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত (১৪)।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরের দিকে মান্দা উপজেলার বড়পই গ্রামের প্রসাদপুর বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নুসরাত মান্দা থানা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার গ্রামের বাড়ি পত্নীতলা উপজেলার কাটাবাড়ি গ্রামে নিহত নুসরাত আকবর আলীর মেয়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় দুই মাস আগে আকবর আলী প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে প্রসাদপুর বাজার এলাকার এক বাসায় ভাড়া ওঠেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তিনি গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে নিজের প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে সেই ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন। বাবার এমন নির্মম সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়ে নুসরাত। পারিবারিক অশান্তির মধ্যেই বেড়ে চলা মানসিক চাপ আর অবহেলার ভার সইতে না পেরে চিরতরে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। শনিবার দুপুরে বাবার ভাড়া বাসায় এক চিরকুট লিখে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে নুসরাত।
ঘটনার পর আকবর আলী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনসুর রহমান জানান, “সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।