সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবের মতো ইন্টারনেটভিত্তিক ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে দেওয়া বিজ্ঞাপনের লেনদেন থেকে কর, শুল্কসহ সব ধরনের রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। গত তিন দিন আগে এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিটটি আবেদন করেন মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লবসহ সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, সার্চ ইঞ্জিন গুগল, ইয়াহু, ই-কমার্সের আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম আমাজন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবসহ ইন্টারনেটভিত্তিক আন্তর্জাতিক সব প্লাটফর্ম থেকে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের লেনদেন থেকে উৎসে কর, শুল্কসহ সব ধরনের রাজস্ব আদায় করতে হবে।
এ ছাড়াও বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের লেনদেনের বিপরীতে এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে আদায়যোগ্য উৎসে কর, শুল্কসহ সব ধরনের রাজস্ব আদায়ে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিব, আইন সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব, বাংলদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, গুগল, ইয়াহু, আমাজন ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে এদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট পল্লব। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. কাউছার, মাজেদুল কাদের, সাজ্জাদুল ইসলাম ও অপূর্ব কুমার বিশ্বাস। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি মোতাহার হোসেন সাজু।
এ ব্যাপারে আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব গণমাধ্যমকে জানান, বিবাদীদের আগামী ২৫ জুনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট পল্লব বলেন, “রুল জারি ও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি গত ১০ বছরে অর্থাৎ ২০০৭ থেকে এখন পর্যন্ত এসব প্লাটফর্ম বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ আয় করেছে, তা নিরূপণ করতে এবং নিরূপিত আয়ের বিপরীতে কী পরিমাণ উৎসে কর, শুল্ক ও রাজস্ব আদায়যোগ্য ছিল, তা নিরূপণ করতে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।”