আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নোয়াখালী-৫ ও শরীয়তপুর-১ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে দুই প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ও সংগঠক—ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম এবং বেস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট সাইদ আহমেদকে।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর তারা দুজনই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তারা বলেন, এই মনোনয়ন তাদের কাছে শুধু রাজনৈতিক সুযোগ নয়, বরং জনগণের সেবা করার নৈতিক দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার প্রতীক। বিএনপির আদর্শ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তারা মাঠে থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল ইসলাম বলেন,
“নোয়াখালী-৫ আসনের মানুষের ভালোবাসা, আস্থা ও প্রত্যাশাই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করতে চাই। মাদকমুক্ত সমাজ গঠন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ নোয়াখালী গড়াই আমার লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সুশাসন নিশ্চিত করাই হবে তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কেন্দ্রবিন্দু।
ফখরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বীমা শিল্পে সক্রিয় এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের সঙ্গেও যুক্ত। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও তিনি পরিচিত।
অন্যদিকে শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাইদ আহমেদ বলেন,
“এলাকার মানুষের কল্যাণে আমি সবসময় কাজ করেছি। এবার দলের মনোনয়ন পেয়ে সেই দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি একটি ন্যায়ভিত্তিক ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক কাঠামো গঠনই আমার প্রধান লক্ষ্য।”
বিআইএ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বীমা খাতের উন্নয়নে তাঁর সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও জীবনমান উন্নয়ন তাঁর রাজনীতির প্রধান অঙ্গীকার।

উভয় প্রার্থীই বলেন,
“দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা আমাদের ওপর যে আস্থা রেখেছেন, তা রক্ষা করতে আমরা সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা ও সততার সঙ্গে কাজ করব।”
তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে “রাজনৈতিক আস্থার স্বীকৃতি” হিসেবে উল্লেখ করেন এবং মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ফখরুল ইসলাম ও সাইদ আহমেদ দুজনই বিএনপির অর্থনৈতিক খাতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দলীয় বিভিন্ন নীতিগত আলোচনায় অংশ নিয়ে আসছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে এবং বেসরকারি খাত থেকে যোগ্য নেতৃত্ব তুলে আনতেই বিএনপি এই দুই প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে।
প্রার্থীরা বলেন,
“এই মনোনয়ন আমাদের জন্য নতুন দায়িত্বের সূচনা। জনগণ, নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতা পেলে আমরা উন্নত, স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারব।”
তারা একই সঙ্গে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের দোয়া, সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে সততা, সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।