নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণার পর সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিন মাস ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকেই তার স্বামী মিলন মিয়ার কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন মাধবদী মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি সফি মিয়া ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফরিদ মিয়া। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে ওই দুই নেতার নেতৃত্বে ইমন ও নওশের বাহিনীর প্রায় ২০-২৫ জন অস্ত্রধারী যুবক মাধবদীর খিলগাঁও এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদা বেগমের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বামী মিলন মিয়া।
মিলন মিয়া জানান, স্ত্রী গ্রেফতারের পর থেকেই বিএনপি নেতারা তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হবে বা মেরে ফেলা হবে। এই কারণে তিনি ছোট মেয়েকে নিয়ে মাধবদী শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন। তিনি আরও বলেন,আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে সকালে ৮-১০টি মোটরসাইকেলে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে এসে হামলা চালায়। তারা বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় এবং ঘরের মালামাল লুট করে মালামাল নিয়ে যায়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালিয়ে তারা চলে যায়। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ তার।
এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে হামলাকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। জেলা বিএনপির সভাপতি ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহিদা বেগমের পরিবারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। সেই বিরোধের জেরেই এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মুনজুর এলাহী বলেন,আমাদের দল কোনো ধরনের সহিংসতা বা হামলার সমর্থন করে না। এটি অন্য কেউ করে থাকতে পারে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.নজরুল ইসলাম বলেন,এ ধরনের কোনো ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।