রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
বিএনপির ওই নেতারা মনে করছেন, বিএনপি সরকারের পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছে। তাদের মতে, শেষ পর্যন্ত মেয়র নির্বাচন হবে না, শুধু ২০ দলে অবিশ্বাস্য আর অশান্তির জীবানু ছড়িয়ে পড়বে।
বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান এবং মির্জা আব্বাস দলের কর্মীদের কাছে এরকম মন্তব্য করেছেন। বিএনপির বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ঢাকার সাবেক মেয়র ছিলেন। ঢাকার রাজনীতিতে তিনি এক বড় ফ্যাক্টর। সাদেক হোসেন খোকার মতো জনপ্রিয় না হলেও তাঁর নিজস্ব কর্মী বাহিনী আছে। কর্মীদের তিনি নির্বাচনের মাঠে আগেই না নামতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত মেয়র নির্বাচন হবে না। সরকার মেয়র নির্বাচনের হুজুগ উঠিয়ে ২০ দল ভাঙ্গতে চাইছে।’
কর্মীদের তিনি বলেছেন, ‘সরকারের গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া জামাতের সেলিম প্রার্থী হতে পারে না। এখন শুনছি তারা অনঢ়।’
মির্জা আব্বাসের মতোই ঢাকা উত্তরের মেয়র নির্বাচনকে জোট ভাঙ্গনের খেলা বলছেন, ‘গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গয়েশ্বর অবশ্য মনে করেন, বেগম জিয়ার রায় আর মেয়র নির্বাচনের নাটকের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে।’
কর্মীদের কাছে বিরক্তি প্রকাশ করে গয়েশ্বর বলেছেন, মেয়র নির্বাচনে যাওয়া একটি ভুল সিদ্ধান্ত। তাঁর মতে, শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে নির্বাচন হবে না, কিন্তু ২০ দলের জোট আর থাকবে না।
গয়েশ্বর রায় মনে করেন, এমনিতেই ২০ দলে অনেক অসন্তোষ রয়েছে। দলগুলো প্রায়ই মনে করে তাদের মূল্যায়ন করা হয় না।
গয়েশ্বর রায় দাবি করেছেন, অনেকদিন ধরেই সরকার জামাতকে বশীকরণের চেষ্টা করছে। জামাতের নেতাদের গ্রেপ্তার করে তাদের জোট ত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।
মেয়র নির্বাচন ইস্যুতে জামাতকে আলাদা করে ফেলবে সরকার বলেও কর্মীদের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির আরেক নেতা নজরুল ইসলাম খানও বিশ্বাস করেন বিএনপিকে বিভ্রান্ত করতে এবং কর্মীদের মনোবল নষ্ট করতেই মেয়র নির্বাচনের মঞ্চ সাজানো হয়েছে।
কর্মীদের তিনি বলেছেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না হলে হতাশ না হতে। নজরুল ইসলাম খান মনে করেন, মেয়র নির্বাচনে সরকারের জয়ী হবার সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগ যে প্রার্থীর দেবে বলে শোনা যাচ্ছে, সেই প্রার্থীও হেভীওয়েট প্রার্থী না। আওয়ামী লীগ আসলে তামাশা করছে।
তবে, বিএনপির মধ্যে একাংশ মনে করেন বাইরে থেকে কেউ যদি জোট ভাঙ্গতে পারে তাহলে মনে করতে হবে জোটেই সমস্যা আছে। আর মেয়র নির্বাচন না হলে সমস্যা কি, এই সুযোগে কর্মীরা তো চাঙ্গা হলো।