রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
মঙ্গলবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনকালে এ দাবি করেন মওদুদ।
এ সময় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি আইনানুগ হয়নি দাবি করে এটি প্রথম দিনেই খারিজ করে দেয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মওদুদ বলেন, শাসক দলের দ্বারা বিরোধী রাজনীতিকরা সব সময় নির্যাতিত হয়েছে। নেলসন ম্যান্ডেলা থেকে শুরু করে আমরাও জেল খেটেছি। খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠাতে পারবেন কিন্তু এতে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাবে না। বরং আমি বলতে পারি- খালেদা জিয়াই হচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৮ মিনিটে বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া।
এর পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন তার আইনজীবী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি ৯ম দিনের মতো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। ওই দিন যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় ১৬, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেন আদালত। অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও যুক্তি উপস্থাপনের জন্য একই দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। এ দিন রাষ্ট্রপক্ষ খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।
এর পর ২০, ২১, ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবং ৩ , ৪, ১০ ও ১১ জানুয়ারি খালেদার পক্ষে যুক্ত উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় প্রথম মামলাটি করা হয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুদক।