সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ আমাদের রাজনৈতিক কর্মীরা রিকশা চালান এই ঢাকায়, তারা হকার হয়েছেন, তারা কোনো বাড়ির নাইট গার্ডের কাজ করছেন। কেউ এলাকায় থাকতে পারছেন না, সবাই চলে এসেছেন যে যার মতো করে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সাংবদিক ইউনিয়নের একাংশের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে শওকত মাহমুদ, মাহামুদুর রহমান, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ এ সময় বক্তৃতা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা অনেকে মারা গেছেন, নিহত হয়েছেন, অনেকে কারাগারে গেছেন, আর আমাদের রাজনৈতিক কর্মীরা সারাদেশে প্রায় ১৮ লাখ আসামি। ১৯৭৫ সালের ১৬ জুনের পরে যেমন সাংবাদিক ভাইয়েরা অনেকে ফল বিক্রি করেছেন, বায়তুল মোকাররমের সামনে কাগজ বিক্রি করেছেন, আজ আমাদের রাজনৈতিক কর্মীরা রিকশা চালান এই ঢাকায়, তারা হকার হয়েছেন, তারা কোনো বাড়ির নাইট গার্ডের কাজ করছেন।
তিনি বলেন, তারা হকার হয়েছেন, তারা কোনো বাড়ির নাইট গার্ডের কাজ করেন। কেউ এলাকায় থাকতে পারছেন না, সবাই চলে এসেছেন যে যার মতো করে। এই ঢাকা শহরের এক পাড়ার লোক সে পাড়ায় থাকতে পারছেন না, অন্য পাড়ায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দলের অনেকে এসে বলে, স্যার কী হবে? আমি বলি, হতাশাই শেষ কথা হতে পারে না, লড়াই করো, লড়াই করতে করতে আমরা একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছাব-ই। আমরা তো এই বংলাদেশেই দেখেছি, নয় বছর, দশ বছর, বাংলাদেশেই তো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল দেখেছি, কিন্তু এই বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু জেগে উঠেছে। এই বাংলাদেশের মানুষই কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উড়ে গেছে। আমাদেরকে সেইভাবে এগোতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গত রাতেও গাজীপুরের কাশিমপুরে আমাদের দলের ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ কারণে গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে সরানোর জন্য বলে আসছি আমরা। যেদিন আমাদের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিল আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করল, তাকেসহ ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হলো। আর হাইকোর্ট যেদিন নির্বাচন বন্ধ করল ওইদিন আমাদের আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ ২১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিল। এটা হলো আমাদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন! এটা হলো আমাদের সিইসি সাহেবের খুলনার মতো নির্বাচন না হওয়ার নমুনা।