শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
প্রযুক্তি ডেস্ক: বর্তমানে স্মার্টফোন ছাড়া চলার কথা একেবারেই ভাবা যায় না। তবে এই স্মার্টফোন কেনার সময় যদি কিছু বিষয় মাথায় না রাখি তাহলে ব্যবহারের সময় ঘটতে পারে নানান সমস্যা। তাই স্মার্টফোন কেনার সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন তা নিয়ে আজকে জানানোর চেষ্টা করবো।
১. বডি
বাজারে দু ধরনের স্মার্টফোন পাওয়া যায়, ধাতব বডির ও প্লাস্টিক বডির। আপনার হাত থেকে প্রায়শই যদি ফোন পড়ে তবে চোখকান বুজে আপনার ধাতব বডির ফোন কেনা উচিত।
২. ডিসপ্লে
আপনার যদি বেশিরভাগ সময়েই ছবি এডিট, ভিডিও ও সিনেমা দেখার ঝোঁক থাকে তবে নিঃসন্দেহে ৫.৫ বা ৬ ইঞ্চি স্ক্রিনের ফোন কেনা উচিত। যার আর অ্যাসপেক্ট রেশিও থাকতে হবে ১৮:৯। আর রেজ্যুলিউশনের দিক থেকে হতে হবে ফুল এইচডি এবং ১৯২০x১০৮০ পিক্সেল।
৩. প্রসেসর
ফোনের প্রসেসিং পাওয়ার ভিন্ন ভিন্ন হয়। আপনি যদি অনেক রকমের অ্যাপ ব্যবহার করেন, ছবি ও ভিডিও এডিট করেন, অথবা অনেক গেম খেলেন তবে আপনার জন্য সবথেকে ভাল হবে ‘কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৫২’ বা ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮২০’।
আবার, কোনো সেটের সিপিইউ-তে প্রসেসর কোর এর সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয় ফোনটির কাজের গতি কত দ্রুত হবে বা মসৃণ হবে এবং একসঙ্গে কত বেশি কাজ করা যাবে। অক্টাকোর প্রসেসর-কে হয়তো মনে হতে পারে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। কিন্তু না তার চেয়ে বরং কোয়াডকোর প্রসেসর বেশি সক্ষমতা সম্পন্ন।
৪. ক্যামেরা
ফ্রন্টই হোক বা ব্যাক, ক্যামেরার মেগাপিক্সেল বাড়লেই যে ছবি সবসময় ভাল আসবে এমনটা ভাবা ভুল। তাই ফোন কেনার সময় ক্যামেরার আইএসও, পিক্সেল সাইজ, অটোফোকাস ইত্যাদি দেখে ফোন কিনুন।
৫. ব্যাটারি
ব্যবহারকারীদের উপর স্মার্টফোনের ব্যাটারিলাইফ নির্ভর করে। আপনি যদি দিনের অর্ধেক সময়ই ফোনে অ্যাপ ব্যবহার করেন তবে আপনার নূ্ন্যতম ৩৫০০ এমএইচের ব্যাটারি প্রয়োজন। তার থেকে কম ব্যবহার করলে ৩০০০ এমএইচের ব্যাটারিই যথেষ্ট।
৬. এক্সট্রা সিকিউরিটি
যেহেতু স্মার্টফোন বিষয়টি খুব ব্যক্তিগত, তাই ‘এক্সট্রা সিকিউরিটি’ যুক্ত ফোন যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশান, ফোল্ডার লক সিস্টেম ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য দেখেই ফোন কেনা উচিত।
৭. ফ্রন্ট ফেসিং স্পিকার
অনেক সময়ই নতুন ফোন কেনার কিছুদিনের মধ্যেই ফোনের অডিও সাউন্ড কমে যায় অথবা ভিডিও এডিটের সময় ঠিকমতো শব্দ শোনা যায় না। এসব থেকে মুক্তি পেতে ফ্রন্ট ফেসিং স্পিকারযুক্ত ফোন কেনা উচিত।
৮. ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ
অন্তত ৬৪জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ আছে এমন ফোন কিনবেন। তাহলে আর আপনাকে প্রায়ই স্পেস খালি করে কাজ করতে হবে না।
৯. ৪জিবি র্যাম
র্যাম সক্ষমতাও ওপরি নির্ভর করে আপনার ফোনটি কত দ্রুত অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবে এবং একই সঙ্গে কত দ্রুত গতিতে অনেক কাজ করতে পারবে। সুতরাং দ্রুত গতিতে ভারী অ্যাপস ব্যবহার করতে চাইলে অন্তত ৪জিবি র্যামযুক্ত ফোন কিনতে হবে।
১০. সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম
অ্যান্ড্রয়েড এর লেটেস্ট অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ ওরিও যুক্ত ফোন কিনলে আগের অপারেটিং সিস্টেম এর দুর্বলতাগুলো থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
১১. ডাটা কানেক্টিভিটি
ডাটা কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে অবশ্যই ৪জি ভোল্টে সংযোগ আছে কিনা দেখে নিতে হবে।